বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলাশাসক বলেন, কোনও ক্ষতিগ্রস্ত যাতে ক্ষতিপূরণ থেকে বাদ না পড়েন, সেটা নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া সত্ত্বেও যাঁরা টাকা নিয়েছেন, তাঁরা টাকা ফেরাচ্ছেন। কিছু ব্লকে ইন্সপেকশন চলবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ২৫টি ব্লক ও পাঁচটি পুরসভা। প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসনের কাছে উম-পুনের ক্ষতিপূরণ নিয়ে ১৬টি ব্লক এবং দু’টি পুরসভা থেকেই অভিযোগ বেশি এসেছে। সেজন্য বাছাই করা ১৮টি জায়গায় সারপ্রাইজ ভিজিট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবারও একদল মানুষ নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত দাবি করে নন্দীগ্রাম-১ব্লকের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখান। এনিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। মিরপুর গ্রাম থেকে লোকজন বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। মঙ্গলবার শাসক দলের পক্ষ থেকে ২৫নেতাকে সাসপেন্ড করার পরেও নন্দীগ্রামে ক্ষোভ মিটছে না। এদিন নন্দীগ্রামে বেশ কয়েকজন ক্ষতিপূরণ বাবদ জমা পড়া টাকা ফিরয়ে দেন। মহিষাদলের নাটশাল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত মানুষজন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিস্ট্রিক্ট ওয়েলফেয়ার অফিসার চিরন্তন প্রামাণিককে তমলুক ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে ইন্সপেকশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা পরিকল্পনা আধিকারিক হিমাদ্রি সরকারকে। ময়না ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বাণীব্রত মুখোপাধ্যায়কে। পাঁশকুড়া ব্লকের দায়িত্ব পেয়েছেন দেবত্তম চৌধুরী। নন্দকুমার ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক নিশান্ত মুখোপাধ্যায়কে। চণ্ডীপুর ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুধাংশু পাইককে। কোলাঘাট ব্লকের দায়িত্ব পেয়েছেন সজল দাস।
তমলুক পুরসভার দায়িত্ব পেয়েছেন তফসিলি জাতি ও উপজাতি উন্নয়ন এবং বিত্ত নিগমের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার পৃথ্বীমান মিত্র। হলদিয়া ব্লকের দায়িত্ব পেয়েছেন স্বপ্নজিৎ সাহা। সুতাহাটা ব্লকের দায়িত্ব পেয়েছেন অখিলেশ সাহা। মহিষাদল ব্লকের দায়িত্ব পেয়েছেন মোনালিসা তিরকে। নন্দীগ্রাম-১ব্লকের দায়িত্ব পেয়েছেন ডিআরডিসি-র প্রোজক্ট ডিরেক্টর নীলাঞ্জন মণ্ডল। নন্দীগ্রাম-২ব্লকে ইন্সপেকশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রোহন ঘোষকে। হলদিয়া পুরসভা এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সমগ্র শিক্ষা অভিযানের প্রকল্প আধিকারিক বিশ্বজিৎ সরকারকে। কাঁথি-১ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিংশুক চন্দকে। রামনগর-২ব্লকের দায়িত্ব পেয়েছেন জাহিদ সাউদ। খেজুরি-২ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দীনবন্ধু গায়েনকে। দেশপ্রাণ ব্লকের দায়িত্বে আছেন সন্দীপ ভট্টাচার্য।
অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ) সুদীপ সরকারকে তমলুক সদর মহকুমা, অতিরিক্ত জেলাশাসক(উন্নয়ন) চেয়ং পারজারকে এগরা মহকুমা, অতিরিক্ত জেলাশাসক(ট্রেজারি) শেখর সেনকে হলদিয়া মহকুমা এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক(ভূমি ও ভূমি সংস্কার) সরিৎ ভট্টাচার্যকে কাঁথি মহকুমার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসকরা সংশ্লিষ্ট মহকুমার অধীনে ব্লকের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। কোথায় কবে ভিজিট হবে, তা আগেই ঠিক করে নেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতি আটকাতে এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। তাছাড়া রাজ্য থেকে সারপ্রাইজ ভিজিট করার নির্দেশ এসেছে।