পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কয়েকটি জায়গা থেকে যে অভিযোগ এখনও আসছে, তা স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, দু’-তিনটি ছোট ঘটনা ঘটেছে। পুলিসকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এফআইআর হয়েছে। কিন্তু বিরোধীরা ঘটনাগুলি নিয়ে শোরগোল করছে। তবে হার মানতে রাজি নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়েছেন, ‘এই আমলে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। আমি নিজের পার্টিকেও ছেড়ে কথা বলিনি। কিন্তু বাম আমলের মেকানিজম এখনও নিচুতলায় কিছুটা চলছে।’
উম-পুন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে টানা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকায় বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ-অবরোধ হয়। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেও বামেদের তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, উম-পুনের সময় কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল না। তা নিয়ে আমাকে গালিগালাজ শুরু করল। বাম আমলে বলত—লোডশেডিংয়ের সরকার, আর নেই দরকার। এখন তো লোডশেডিং উঠেই গিয়েছে।’ যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি উড়িয়ে বিকেলেই দুর্নীতি প্রশ্নে শাসকদলকে আক্রমণ করেছেন সিপিএম নেতারা।
এদিন কলকাতা ট্রাফিক পুলিসের উদ্যোগ চতুর্থ বর্ষে পড়েছে। সেই অনুষ্ঠানে দুর্ঘটনা কমার জন্য ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচির প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। হেলমেটের পাশাপাশি এখন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, করোনা নিয়েও তিনি রাজ্যবাসীকে সতর্ক করেছেন। তাঁর আর্জি, সংক্রমণকে ভয় পাবেন না। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। বর্ষাকালে জ্বর সর্দি কাশি হয়। তাই অযথা উদ্বেগের কিছু নেই। যে কোনও সমস্যা হলে ডাক্তার দেখান। আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে বর্ধিত কন্টেইনমেন্ট এলাকায় নতুন করে লকডাউন শুরু হচ্ছে। সে সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি মানুষের সমস্যা রয়েছে। হাতে টাকা পয়সা নেই। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নিরুপায় হয়ে কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন করতে বাধ্য হচ্ছি। সকলের সহযোগিতা দরকার।’ এক বিজেপি নেতার মা সংক্রামিত হওয়ার খবর পেয়ে মমতা নিজে পুলিসকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। সেকথা জানিয়ে বিজেপি সভাপতিকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। স্বাস্থ্যসাথীর প্রসঙ্গ টেনে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প রাজ্যে চালু না হওয়ার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। বিরোধীদের প্রচার সত্ত্বেও করোনার মধ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মমতা।