বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এক সঙ্গে জ্যোতিবাবুকে জন্মদিনের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি শাসক দলকে নিশানা করে কার্যত বাম ও কংগ্রেস শিবির জোটের আবহ আরও কিছুটা মজবুত করার কাজ করল। সেই আবহ বজায় রাখতে আজ বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে হানা দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। খেজুরিতে স্থানীয় এক সিপিএম নেতার নৃশংস খুনের পরিপ্রেক্ষিতেই জেলা প্রশাসনের কাছে দরবার করতে তাঁদের এই কর্মসূচি।
এদিন সুজনবাবু এবং সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, যাঁর জমানায় রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গোটা দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছিল, সেই জ্যোতি বসুর জন্মদিনে ছেঁদো রাজনৈতিক অভিযোগ করার জন্য সরকারি মঞ্চকে বেছে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ন’বছর ক্ষমতায় থেকে উনি বাম আমলের দুর্নীতি ধরার জন্য হরেক রকমের তদন্ত কমিশন করেছিলেন। তার একটার রিপোর্টও প্রকাশ করার হিম্মৎ দেখালেন না। করোনা পর্বে রেশন এবং উম-পুনের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ চলছে। কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকার এতবড় কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরও একজনের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়নি। কোনও পুলিসি ব্যবস্থা না নিয়ে কেবল লোক দেখানোর জন্য দল থেকে কয়েকজনকে মৌখিক সাসপেন্ড বা বহিষ্কার করেই ক্ষান্ত থাকছেন। আমাদের আমলে কখনও বলিনি ১০০ শতাংশ পঞ্চায়েত দুর্নীতিমুক্ত ছিল। কিন্তু যখন যেখানেই অভিযোগ উঠেছে, তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিধানসভার শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি সুজনবাবুদের সঙ্গে জ্যোতিবাবুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান মান্নান। তারপর সেই ছবির সামনে দাঁড়িয়েই তিনিও বাম আমলের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন মমতার দিকে।