পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তবে এদিনের স্যাটের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করতে পারে সরকার। সরকার পক্ষের অন্যতম আইনজীবী গৌতম পাঠক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সরকার পরবর্তী কোনও আইনি পদক্ষেপ নেবে কি না তা ঠিক করা হবে। উচ্চ আদালতে না গেলে স্যাটের নির্দেশ মতো ডিএ দিতে হবে।
গত ২৬ জুলাইয়ের রায়ে ৩ মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটানোর জন্য রাজ্য সরকারকে নীতি তৈরি করতে বলেছিল স্যাট। এক বছর বা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার মধ্যে যেটি প্রথমে হবে, তার আগেই কেন্দ্রীয় হারের ভিত্তিতে যে বকেয়া ডিএ হবে, তা মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছিল।
এদিন শুধু রায় ঘোষণার কথা থাকলেও রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বিশেষ আবেদন করেন। দিল্লি হাইকোর্টের সাম্প্রতিক একটি রায় তুলে ধরে আপাতত রাজ্য সরকারকে ডিএ দেওয়া থেকে ছাড় দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার দেশে কোভিড পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি আগামী বছরের জুন পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে। এই সিদ্ধান্তটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা হয়। দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, এই অবস্থায় ডিএ বৃদ্ধি স্থগিত রাখার অধিকার কেন্দ্রের আছে।
তবে স্যাট রাজ্য সরকারের আবেদন গ্রহণ করেনি। তারা জানিয়ে দেয়, এখানে শুনানি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর দিল্লি হাইকোর্টের মামলাটি হয়েছে। তাই এব্যাপারে তাদের কিছু করার নেই। তবে সরকার চাইলে এই বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যেতেই পারে সেটা বেঞ্চ বলেছে। সে কারণে উচ্চ আদালতে যাওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনার মধ্যে আছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
২০১৫ সালে পঞ্চম বেতন কমিশনের কার্যকালের মেয়াদ পর্যন্ত রাজ্য কর্মীদের ২৫ শতাংশ হারে ডিএ বকেয়া আছে বলে বিভিন্ন কর্মী সংগঠনের দাবি। ফলে, কেন্দ্রীয় হারে এবং বকেয়া ডিএ মেটাতে গেলে রাজ্যের ঘাড়ে বিপুল আর্থিক বোঝা চাপবে এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।