বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অধীনে প্রায় দু’কোটি গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ লক্ষ গ্রাহক আছে, যারা মূলত শিল্প প্রতিষ্ঠান। সংস্থার আওতায় মোট ৫১২টি সেন্টার রয়েছে, যেখানে বিদ্যুতের বিল মেটানো যায়। লকডাউনে সেই সেন্টারগুলি খোলা ছিল। পাশাপাশি অনলাইনেও বিল মেটানোর সুযোগ রয়েছে। তবু আর্থিক সংস্থানের কারণেই হোক, অথবা অন্য কিছু, দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, বহু গ্রাহক এপ্রিল এবং মে মাসে বিল মেটাননি। প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল বাবদ সংস্থার আয় হয় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। আয় মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় মাথায় হাত দপ্তরের কর্তাদের। তাঁদের বক্তব্য, বিল বাবদ আদায় হওয়া টাকা থেকেই যেমন বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্ষদের প্রাপ্য টাকা মেটাতে হয়, তেমনি এনটিপিসি সহ যাদের থেকে রাজ্যকে বিদ্যুৎ কিনতে হয়, তাদেরও পেমেন্ট দিতে হয়।
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা হিসেব কষে দেখেছি, লকডাউনে বিদ্যুৎ বিল বাবদ দু’হাজার আট কোটি টাকা আদায় করা যায়নি। এটা বড় ধাক্কা, তা সত্ত্বেও আমরা কর্মীদের মাইনে দিয়ে গিয়েছি। যাঁরা বিল দেননি, তাঁদের নতুন বিলে বকেয়া টাকা যোগ হয়ে যাবে।
লকডাউনে মিটার রিডিং নেওয়া যায়নি। গত বছরের ওই সময়ের বিলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিল পাঠানো হয় গ্রাহকদের কাছে। জুনে শুরু হয় রিডিং নেওয়ার কাজ। আর তাতেই বাধে বিপত্তি। বহু গ্রাহকের অভিযোগ, আচমকা প্রচুর টাকার বেশি বিল এসেছে তাঁদের। টাকার অঙ্ক এতটাই যে এর কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা। বিষয়টি নজরে এসেছে বণ্টন সংস্থারও। তাদের যুক্তি, যেহেতু এপ্রিল-মে মাসে গড় বিল এসেছে, সেই কারণে আসল মিটার রিডিং অনুযায়ী জুন মাসে অনেককেই বেশি বিল মেটাতে হচ্ছে। এতে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। যদিও বহু গ্রাহক এই যুক্তি মানতে রাজি নন। অস্বাভাবিক বিলের কারণ জানতে চেয়ে তাঁদের অনেকেই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
এদিকে যাঁরা লকডাউনে বিল পেমেন্ট করেননি, নতুন বিল এলে, তার অঙ্ক নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। তবে সংস্থার কর্তাদের অনেকেরই বক্তব্য, মূল সমস্যা রয়েছে শিল্প সংস্থাগুলিকে নিয়ে। লকডাউনে কারখানা বন্ধ থাকলেও, ভালো টাকার বিদ্যুতের বিল এসেছে অনেক সংস্থাতেই। সেই টাকা মকুব করুক রাজ্য সরকার, এমন দাবি করেছে অনেক শিল্প সংস্থাই।