বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মন্ত্রী বলেন, রাজ্যজুড়ে সবুজ ধ্বংস হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কীভাবে গাছ উপড়ে পড়েছে আমরা দেখেছি। প্রায় ১৬০০ বর্গকিমি সবুজ ধ্বংস হয়েছে। প্রায় এক কোটি ২০ লক্ষ গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্যে প্রভাব পড়েছে। রাজ্য সরকার সুন্দরবনে পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানোর কাজ শুরু করেছে। আগামীদিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা জনপ্রতিনিধি ও সরকারি অফিসের মাধ্যমে এই চারা গাছ রোপণের ব্যবস্থা করছি। জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত, স্কুল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে চারা গাছ বিলি করব।
এদিনের অনুষ্ঠানে রাজীববাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। তাঁরা দু’জনেই বনমন্ত্রীর কাছে কাটোয়ায় বনদপ্তরের গেস্টহাউস তৈরির দাবি জানান। যদিও বনমন্ত্রী তাঁদের এই প্রস্তাব বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
কাটোয়া শহর থেকে কিছুটা দূরে এসটিকেকে রোডের পাশে খাজুরডিহি মৌজায় বনদপ্তরের অফিস তৈরি হবে। এর জন্য প্রায় ৭১ লক্ষ টাকা খরচ করা হচ্ছে। পাশাপাশি শহরের ভাগীরথীর শাঁখাই ঘাটেও গাঙ্গেয় শুশুক সচেতনতা প্রসার কেন্দ্র তৈরি হয়েছে।
রাজীববাবু আরও বলেন, রাজ্যের বনবিভাগের ইতিহাসে আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। তার কারণ রাজ্যে এই প্রথম আমরা কাটোয়ায় গাঙ্গেয় ডলফিন সংরক্ষণ ও সচেতনতার ব্যবস্থা করেছি। এর আগে বনবিভাগ বাঘ সহ অন্যান্য জীবজন্তু সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। শকুন নিয়েও আমরা কাজ করেছি। এগুলি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ভাগীরথী ও অজয়ের সঙ্গমস্থলে এখন অনেক শুশুক ঘোরাফেরা করে। তাই এই অঞ্চলকেই প্রচারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। এদের বাঁচাতে এবার ভাগীরথীতে কড়া নজরদারি চালাবে বনদপ্তর। এজন্য ঐরাবত নামে দুটি স্পিড বোট দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ভাগীরথীর শাঁখাই ঘাটে শুশুক বাঁচাতে সচেতনতার বোর্ড লাগানো হয়েছে। এবার ওখানেই শুশুক সচেতনতা প্রসার কেন্দ্র তৈরি হবে। বনদপ্তর শুশুকদের নিরাপত্তা দিতে তৎপর।
অন্যদিকে, এদিন আউশগ্রামের ভাল্কি এলাকায় বনদপ্তরের অফিসেরও সূচনা করেন বনমন্ত্রী। হাতি তাড়াতে বিশেষ যান ঐরাবতের উদ্বোধন করা হয়। পাশাপাশি আউশগ্রামের ডোমবান্ধি গ্রামে শালপাতার থালা বাটি তৈরি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, এখানকার উৎপাদিত সামগ্রী সরাসরি কিনে নেবে বনদপ্তর। ফলে মার্কেটিংয়ের সমস্যায় পড়তে হবে না। তিনি বলেন, বনকে বাঁচাতে হলে বনভূমি লাগোয়া বসবাসকারী মানুষের আর্থ সামাজিক বিকাশে জোর দিতে হবে। তাই সরকারিভাবে বনবান্ধব, বনসহায়কদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। তাঁদের আর্থিক বিকাশের দিকটি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কাটোয়ায় বনদপ্তরের রেঞ্জ অফিসের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। -নিজস্ব চিত্র