পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেম্বারে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি মূলত আলিপুর পুলিস ও জজ কোর্টের সমস্যা নিয়ে ডাকা হয়েছিল। সেখানকার বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে প্রাক্তন সহকর্মী এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ হিসেবে এনিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বিমানবাবুকে। আবেদন জানানো হয়েছিল আইনমন্ত্রীকেও। বৈঠকে হাজির ছিলেন বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অশোক দেবও। আলিপুরের দুটি আদালত চত্বরে উম-পুন ঘূর্ণিঝড়ের ফলে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ, জঞ্জাল সাফাই, স্যানিটাইজেশনের কাজ পুরোপুরি স্বাভাবিক পর্যায়ে না-আসায় আইনজীবীদের সিংহভাগ সেখানে হাজির হতে ভরসা পাচ্ছেন না। এনিয়ে জেলা জজকে তাঁরা অ্যাসোসিয়েশনের তরফে চিঠিও দিয়েছেন। সেই চিঠিরই প্রতিলিপি বিমান ও মলয়বাবুকে পাঠিয়ে তাঁরা এনিয়ে হস্তক্ষেপ দাবি করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ওই বৈঠকে বসা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বার অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ কর্তা আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়।
বিমানবাবু ও বৈশ্বানরবাবু জানিয়েছেন, বৈঠকে রাজ্যের আদালতগুলির সঙ্গে যুক্ত আইনজীবী ও তাঁদের কর্মচারীদের রুটিরুজির প্রসঙ্গ ওঠে। পাশাপাশি মামলার পাহাড় ক্রমশ বেড়েই চলেছে নিয়মিত শুনানির অভাবে। অনলাইন শুনানির সঙ্গে অধিকাংশ আইনজীবীই মানিয়ে নিতে পারছেন না। এই অবস্থায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আদালতের স্বাভাবিক কাজ বন্ধ থাকলেও চরম দুর্গতিতে পড়বেন বিরাট অংশের মানুষ। এই অবস্থায় বার কাউন্সিল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে। আইনমন্ত্রীও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলবেন বলে ঠিক হয়েছে। মলয়বাবু বলেন, বার কাউন্সিল ছাড়াও আমি ওঁর সঙ্গে দেখা করে এই সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা করব।