পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
ইঙ্গিত, স্থিতাবস্থা থেকে আপাতত সরে আসা হচ্ছে না।
ইউজিসির হঠাৎ এই নীতি বদল এর তুমুল সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ উপাচার্য পরিষদের সম্পাদক সুবীরেশ ভট্টাচার্য। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশবাবু বলেন, ভেবে দেখলে এটা আসলে সুপ্রিম কোর্টের মনোভাবের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। করো না পরিস্থিতি যখন এর চেয়েও ভাল ছিল, তখনই স্কুল বোর্ডের পরীক্ষা বাতিল করতে বলেছিল আদালত। কিন্তু ইউজিসির নির্দেশ যখন এল, তখন দেশে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। কেউ বলতে পারছে না, কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। এই অবস্থায় সেপ্টেম্বরের সময়সীমা কীভাবে তারা বেঁধে দিতে পারে? তাছাড়া বহু পরীক্ষার্থী চাকরি পেয়ে গিয়েছে। তারা মাকশিটটা গিয়ে দেখালেই চাকরিতে যোগ দিতে পারবে। এই দুর্মূল্যের বাজারে তাদের চাকরি অনিশ্চিত করে দেওয়ার কোন মানে হয় না কারণ পরীক্ষা দিয়ে যতই মে ফলাফল বের হবে ততদিন কোম্পানি তাদের জন্য বসে থাকবে না। তাই ইউজিসির নির্দেশকে অ্যাডভাইজরি ধরে নিয়ে
খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হবে না বলেই তাঁর মত।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শীর্ষকর্তাও বলেন, ইউজিসি পরীক্ষা নিতে বলছে। আমরা তো পরীক্ষা নিয়েছি। আবার কেন পরীক্ষা নিতে যাব? অর্থাৎ তিনি বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। এদিন বেহালার এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের জীবনই আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেটা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার অ্যাডভাইজরি দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পদক্ষেপ করেছে, অনেকে সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এ ব্যাপারটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপরেই আপাতত ছাড়া হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ইস্যুতে ফের কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত বাঁধতে পারে। কিন্তু এতে আখেরে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতই অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে। পরীক্ষা দিতে হোক বা না হোক, তাঁরা এখন থেকে অনেক বেশি মানসিক চাপের মধ্যে চলে গেলেন।