সংবাদদাতা, মালবাজার: মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলী প্রধানের নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার তালিকা উঠেছে। শুধু তিনিই নন, ওই তালিকায় আছে গ্রামের বহু ধনী ব্যক্তির নামও। আর তা প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। প্রকৃত গরিবরা বঞ্চিত হয়েছেন, এই দাবি তুলে বিরোধীরা সরব হন। সিপিএম এবং বিজেপি দু’পক্ষই ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগপত্র জমা করেছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। এ নিয়ে অবশ্য প্রধান আশা ওঁরাও লামার সাফ জবাব, আমার নিজস্ব বাড়িঘর নেই। বিবাহিত হলেও আমি বাপেরবাড়িতে থাকি। আমি কী ঘর পাওয়ার যোগ্য নই। কতদিন আর আমি বাবা-মায়ের বাড়িতে থাকব। তবে কেউ যদি আপত্তি করে তবে আমি বাড়ি নেব না। বেশ কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নামের তালিকা প্রশাসন প্রকাশ করেছে। দেখা গিয়েছে, যাঁদের দালানবাড়ি কিংবা পাকা ঘর আছে তাঁদের নাম সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। সেখানেই প্রধানের নাম জ্বলজ্বল করায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ যাঁদের ঘর নেই, তালিকায় তাঁদের অনেকেরই নাম নেই। বিজেপির নাগরাকাটার ব্লক সভাপতি সন্তোষ হাতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি প্রধান কীসের ভিত্তিতে নেন, সেটাই বড় প্রশ্ন। তাঁর তো আগে দুঃস্থ পরিবারগুলিকে ঘর দেওয়া উচিত। শুধু প্রধান নন, ওই প্রকল্পে এমন অনেক পরিবার আছে যারা ঘর পাওয়ার যোগ্যই নয়। ওঁরা গ্রামে ধনী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। আমরা তাই বিডিও’কে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি।
স্থানীয় সিপিএম নেতা রামলাল মুর্মু বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। তা না হলে কী আর সেখানে প্রধানের নাম থাকে। আমরা এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বিডিও’কে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আমরা চাই, আবাস যোজনায় প্রকৃত দুঃস্থ লোকগুলি ঘর পাক। তৃণমূলের নাগরাকাটা ব্লক সভাপতি মনোজ মুণ্ডা বলেন, আবাস যোজনায় প্রধানের নিজের নাম দেওয়াটা ঠিক হয়নি। আমরা দ্রুত তা খতিয়ে দেখে দলীয়স্তরে ব্যবস্থা নেব। নাগরাকাটার বিডিও স্মৃতা সুব্বা বলেন, নিয়ম রয়েছে আবাস যোজনায় প্রধান, কোনও পঞ্চায়েত সদস্য নিজের নামে ঘর নিতে পারবেন না। আমি অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত অভিযোগ খতিয়ে দেখব। যাঁরা প্রকৃত পাকা ঘর পাওয়ার যোগ্য তাঁরাই ঘর পাবেন।