বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম আমলের একেবারে শেষলগ্নে নিউটাউনে পাঁচ একরের মতো জমি বরাদ্দ হয় সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টের নামে। জমির দাম প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। তার একাংশ তখনই জমা পড়ে সরকারের কোষাগারে। পরবর্তীকালে পালাবদলের পর বাকি টাকাও কিস্তিতে মিটিয়ে দেয় পার্টি। কিন্তু তৃণমূল সরকার বছর দুয়েক আগে এই জমির পরিবর্তে নিউটাউনেই অন্যত্র জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত গবেষণা কেন্দ্রটি গড়ে তোলার প্রস্তাব দেয়। সিপিএম সেই প্রস্তাব খারিজ করায় বিষয়টি ঝুলে থাকে। শেষ পর্যন্ত গত বছর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দলের নেতাদের মুখোমুখি বৈঠকের পর আগের জমিটিই সিপিএমকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মমতা। ক্যাবিনেট বৈঠকেও সেটি অনুমোদন করা হয়। আলিমুদ্দিনের কর্তারা ঠিক করেছিলেন, এবছর ৮ জুলাই জ্যোতিবাবুর জন্মদিনে প্রস্তাবিত ভবনের শিলান্যাস করবেন ঘটা করে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এবার সেটা আর হচ্ছে না।
মাপজোকের পর সরকার নিয়মমতো জমির রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৪০ লক্ষ টাকার উপর স্ট্যাম্প ডিউটি চেয়ে চিঠি পাঠায়। সেই চিঠির জবাবে বিমানবাবু মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী সহ প্রশাসনের অন্যান্যদের কাছে স্ট্যাম্প ডিউটি মকুবের আবেদন জানিয়ে চিঠি দেন। এব্যাপারে বিমানবাবুদের যুক্তি, এই ধরনের অলাভজনক ও গবেষণাধর্মী উদ্যোগের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার বহু উদাহরণ রয়েছে। তাছাড়া জমির দাম বাবদ যে টাকা সরকারকে কয়েক বছর আগে দেওয়া হয়েছিল, তার সুদ বাবদ কোষাগারে ঢুকেছে স্ট্যাম্প ডিউটি থেকেও বেশি টাকা। এই দুটি বিষয় বিবেচনা করেই ছাড়ের আবেদন করেছেন তাঁরা। মাস পাঁচেক আগে আবেদনে করা হলেও নবান্ন এখনও তাতে সবুজ সঙ্কেত দেয়নি। তবে সেই ফাইল নিয়ে নাড়াচাড়া চলছে বলে খবর। তাঁদের আশা, মুখ্যমন্ত্রী এই আবেদনে সাড়া দেবেন।
এদিকে, আজ বুধবার জ্যোতিবাবুর জন্মদিন উপলক্ষে প্রয়াত নেতার নামে একটি বিশেষ ওয়েবসাইট চালু করবে পার্টি। সেই সাইটে তাঁর আত্মজীবনীমূলক নানা তথ্য, ছবির পাশাপাশি সমসাময়িক রাজনীতির প্রসঙ্গও থাকবে। ওইদিন সন্ধ্যায় জ্যোতি বসুকে নিয়ে দল ও সব শাখা সংগঠনের ওয়েবসাইটে ভার্চুয়াল আলোচনাচক্রে ভাষণ দেবেন সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।