পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
কোভিড মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ববিধির শাসন চলছেই। মিটিং-মিছিল কিংবা সভা-সমিতিতে কড়া নিষেধাজ্ঞা। ফলে সোশ্যাল মিডিয়াই রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বড় প্ল্যাটফর্ম। সেখানে দলীয় এমপিদের এভাবে জনপ্রিয়তার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ায় খানিক অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘ওঁরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রয়েছেন। টাকা ঢেলে বিজ্ঞাপন দিয়ে জনপ্রিয়তা ‘বুস্টআপ’ করছেন। মেকি ফলোয়ার তৈরি করছেন। বিজেপি নীতিগতভাবে এ কাজ করে না। মানুষের সঙ্গে থেকেই কাজ করে। সেই কারণেই রাজ্যে আমরা এখন প্রধান বিরোধীদল। চারে ছিলাম। এখন দ্বিতীয়।’ এমপি’দের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির আঁচে টগবগ করে ফুটছে তৃণমূল শিবির। দলের এমপি মালা রায় বলেছেন, ‘জনপ্রিয়তায় আমরা এগিয়ে থাকব, এটাই তো স্বাভাবিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা মানুষের দুঃসময়ে পাশে থাকি। ঝড়-ঝঞ্ঝা, বন্যা-বিপর্যয়ে মানুষ আমাদের কাছে পান। আর সেটাই সোশ্যাল
মিডিয়ায় প্রতিফলিত হয়েছে। ওরা যতই লাফালাফি করুক পুরসভা ও বিধানসভা ভোটে আরও শক্তিশালী হবে তৃণমূল।’
বিজেপি ও তৃণমূলের এমপি’দের জনপ্রিয়তায় কার, কোথায় অবস্থা? প্রথমে আসা যাক ফেসবুক পেজের কথায়। রাজ্য থেকে নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপি’র ১৮জন এমপি। তাঁরা সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ার এই বড় প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন। তৃণমূলের মোট ২২ জন এমপি। তাঁদের মধ্যে ৫ জনেরই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। মূলত, ফেসবুকে রাজনৈতিক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে লাইক করেন জনগণ। তার ভিত্তিতেই বিচার হয় নেতাদের জনপ্রিয়তা। তথ্য বলছে, বিজেপি এমপিদের মন্তব্য পছন্দ করেছেন মাত্র ১৭ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষ। তৃণমূলের ১৭ জন সাংসদের পেজে লাইক পড়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ। তৃণমূলের তারকা এমপি নুসরত জাহানের ফেসবুক পেজে লাইকের সংখ্যা এক কোটি সাত হাজার। আর লকেট চট্ট্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজে লাইক পড়েছে মাত্র দু’ লক্ষ ৫৮ হাজার। বাংলায় টিম টিম করে জ্বলতে থাকা কংগ্রেসের রয়েছেন দুই এমপি। মালদহ দক্ষিণের এমপি আবু হাসেম খান চৌধুরির ফেসবুক-ট্যুইটার কিছুই নেই। তবে লোকসভার
বিরোধী নেতা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরির জনপ্রিয়তা বিজেপি’র অনেক এমপি’কেই টেক্কা দিয়েছে।
ফেসবুকের পরেই ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট।
জনগণের কাছে পৌঁছতে নেতাদের বড় ‘ডিজিটাল হাতিয়ার’। বিজেপির সব এমপি’রই ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তৃণমূলের আবু তাহের খান, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, চৌধুরি মোহন জাটুয়া, দিব্যেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারী, অসীত মাল এবং শতাব্দী রায়ের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টই নেই। ২০১৪ সালের পর দু’জন এমপি ট্যুইটারে কোনও পোস্ট করেন না। অর্থাৎ, ঘাসফুল শিবিরের মাত্র ১৩ জন সক্রিয় ট্যুইটারে। তথ্য বলছে, তাঁদের ট্যুইট ফলো করেন ৩০ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষ। সেখানে বিজেপির ১৮ জন এমপিকে ফলো করেন মাত্র ছ’লক্ষ ৪৫ হাজার মানুষ। ফারাক প্রায় পাঁচ গুণেরও বেশি। তৃণমূলের তারকা এমপি দেবের ট্যুইটার ফলোয়ারের সংখ্যা যেখানে ১০ লক্ষ ২৪ হাজার।