পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষতিপূরণের টাকা নেওয়ার ঘটনায় ২০০নেতাকে তৃণমূল শোকজ করলেও দু’জন অঞ্চল সভাপতি এবং দু’জন পঞ্চায়েত প্রধানকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই ভেকুটিয়া অঞ্চল সভাপতি এবং কেন্দামারি-জালপাই পঞ্চায়েত প্রধান পদত্যাগ করেছেন। বাকিদেরও সরে দাঁড়াতে হবে বলে দল কড়া বার্তা দিয়েছে। কেন্দামারি-জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৫জন সদস্য। প্রধান সহ সিংহভাগ সদস্যের পরিবারের এক থেকে একাধিক সদস্যের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। পার্টি নেতৃত্বের হুঁশিয়ারিতে ১০জন টাকা ফেরত দিয়েছেন। তারপর এদিন পদত্যাগপত্র জমা করলেন।
এদিকে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পাকাবাড়ি থাকা বেশ কয়েকজন শিক্ষক, ব্যাঙ্ককর্মী এবং অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। অথচ ওই পঞ্চায়েত এলাকার প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের কেউ কেউ বিডিও অফিসে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করায় তাঁদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
নন্দীগ্রাম-১ব্লকে কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাবিনা আক্তার খান ক্ষতিপূরণের ২০হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। তাঁর শ্বশুর রেশন ডিলার। স্বামী নাসিম আলম খান পেশায় স্কুলশিক্ষক এবং বুথ কমিটির নেতা। পাকা ঝকঝকে বাড়ি। অথচ ক্ষতিপূরণের ২০হাজার টাকা পেয়েছিলেন সাবিনা। তালিকা সামনে আসতেই হইচই পড়ে যায়। একইভাবে কালীচরণপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শেখ আব্দুল আলিম আলরাজি, তাঁর ভাই শেখ আবুল হাসান মহম্মদ এবং বোন আয়েষা সিদ্দিকা টাকা ফেরত দিয়েছেন। ওই অঞ্চল সভাপতির পরিবার থেকে ফেরত এসেছে ৬০হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম-১ব্লকে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ১০হাজার ৮০০টি বাড়ির জন্য ২১কোটি ৬০লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম-২ব্লকে ৫৭০০টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য দেওয়া হয়েছিল ১১কোটি ৪০লক্ষ টাকা। অনেক প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষতিপূরণ পাননি। এরকম সারা জেলায় ১৫হাজার জনের তালিকা ডিএম অফিসে পাঠিয়েছে নবান্ন। তারমধ্যে নন্দীগ্রাম-১ব্লকের ১০১৭ জন আছেন। নন্দীগ্রাম-২ব্লকেও হাজারের কাছাকাছি ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছেন।
নন্দীগ্রামের তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেন, সোমবার কেন্দেমারি-জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ ১২জন সদস্য আমার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আরও কয়েকজনকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা টিএমসির ব্লকের কোর কমিটির সদস্য শেখ সাহাউদ্দিন বলেন, আমি নিজে পঞ্চায়েত সদস্য। প্রধান সহ আমরা ১১জন সদস্য পদত্যাগ করেছি। আমরা পঞ্চায়েত পরিচালনার সঙ্গে আর থাকব না। দলে স্বচ্ছতা আসুক। নতুনদের দায়িত্ব দেওয়া হোক। আগামী দিনে পার্টির কাজকর্ম নিষ্ঠার সঙ্গে করে যাব।