বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে গত সাড়ে তিন মাসে একাধিক পরীক্ষা বাতিল করেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন। নেওয়া হয়নি নির্ধারিত ইন্টারভিউও। বাকি থাকা পরীক্ষাগুলির মধ্যে ক্লার্কশিপ, মিসলেনিয়াস সার্ভিস, ডব্লুবিসিএসের মতো পরীক্ষাও রয়েছে, যেখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বিপুল। যেমন, বটানিস্ট পদে নিয়োগের সম্ভাব্য দিন স্থির হয়েছে ১৩ আগস্ট। ওই একইদিনের দ্বিতীয়ার্ধে হতে পারে হর্টিকালচারের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদের পরীক্ষা। ক্লার্কশিপের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় এবার ৫ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী ছিল। আর শূন্যপদ ছিল ২ হাজারের বেশি। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ক্লার্কশিপের প্রিলির পরীক্ষা হয়। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, গত ১৪ জুন ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, করোনার প্রকোপ ও লকডাউনের জেরে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ওই পরীক্ষার জন্য আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরকে সম্ভাব্য দিন হিসেবে ধার্য করেছে পিএসসি। জানা গিয়েছে, পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা অর্জনকারীদের তালিকা শীঘ্রই বের হতে পারে।
আবার মিসলেনিয়াস সার্ভিসে শূন্যপদ রয়েছে প্রায় দেড় হাজার। গত ৮ মার্চ মিসলেনিয়াসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দেন লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী। কিন্তু, লকডাউনের জেরে মেইন পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। ওই পরীক্ষার সম্ভাব্য দিন দেওয়া হয়েছে আগামী বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি। একইভাবে, চলতি বছরের ডব্লিউবিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়েছিল গত ৯ ফেব্রুয়ারি। তার মেইন পরীক্ষা আগামী ১৯-২৬ ডিসেম্বর হতে পারে। আর আগামী বছরের ডব্লুবিসিএস প্রিলি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক হয়েছে ৭ ফেব্রুয়ারি।
তবে, লকডাউনে সবচেয়ে বড় যে পরীক্ষার উপর কোপ পড়েছে, সেটা হল আইসিডিএস কেন্দ্রের সুপারভাইজার নিয়োগের পরীক্ষা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে সহায়িকা ও সম্প্রসারিকা হিসেবে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা সুপারভাইজার পদে উন্নীত হওয়ার জন্য পরীক্ষায় বসতেন এপ্রিল মাসে। ওই পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ দেওয়া হয়েছে ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর। এছাড়া সুপারভাইজার পদে সাধারণ পরীক্ষার্থীদের মেইন পরীক্ষার সম্ভাব্য দিন দেওয়া হয়েছে ১০ ও ১১ অক্টোবর। গোটা রাজ্যে সুপারভাইজার পদে সব মিলিয়ে ৫ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগ হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে, ডব্লিউবিসিএস জুডিশিয়ালের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সম্ভাব্য দিন হিসেবে ৫ সেপ্টেম্বরকে বেছে নিয়েছে পিএসসি।