পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব হেল্থ সায়েন্সেস ওই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য গত ১০ জুন নির্দেশিকা জারি করে। পরীক্ষার্থী ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস ও অন্যরা তা চ্যালেঞ্জ করে আদালতকে জানান, তাঁরা পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জায়গায় থাকেন। লকডাউনের মেয়াদ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বহু জায়গা এখনও কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষিত হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় থিওরি ও প্র্যাকটিকাল পরীক্ষায় তাঁদের পক্ষে হাজির হওয়া অসম্ভব।
তাঁদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রিন্সিপাল সচিবের ২৭ জুন জারি করা ‘অ্যাডভাইজরি’ তথা নির্দেশিকার উল্লেখ করেন। যেখানে স্পষ্টই বলা আছে, ২০২০ সালের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট (ইউজি) এবং পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট (পিজি) পরীক্ষার ব্যাপারে রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ বা এসওপি অনুসরণ করতে হবে।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আইনজীবী সুপ্রতীক রায় দাবি করেন, ১০ জুনের নির্দেশিকা প্রকৃতপক্ষে সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ান মেডিসিন দ্বারা ৩ জুন প্রকাশিত নির্দেশিকা অনুসরণে জারি করা হয়েছে। সেই সূত্রে বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে।
দু’পক্ষের যুক্তি-পাল্টা যুক্তি শোনার পর আদালত বলেছে, এই প্রসঙ্গে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের ২৭ জুনের পরামর্শ মাথায় রাখা উচিত ছিল। এও মনে রাখতে হবে, রাজ্যের যাবতীয় শিক্ষা পাঠ্যক্রম ৩১ জুলাই পর্যন্ত ‘লকডাউন মোড’-এ রয়েছে। তাই ১০ জুনের নোটিস ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রাখা হল। ভবিষ্যতে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কোন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা আদর্শ পরিচালন পদ্ধতি অনুসরণ করতে চায়, তা আদালতকে জানানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।