পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আগামী ২১ জুলাই তূণমূলর বার্ষিক শহিদ তর্পণ কর্মসূচি এবার করোনা আবহে বাধা পেয়েছে। জমায়েতের উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়েই ওইদিন ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করে দেবেন তূণমূল সুপ্রিমো। শহিদ তর্পণ দিবসের প্রস্তুতি নিয়েই এদিন বিকেলে দলের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী, জেলা সভাপতি, পর্যবেক্ষক এবং সভাধিপতিদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেখানেই এই বিষয়টি উঠে আসে।
জনগণকে তার প্রাপ্য না দিলে কোনওভাবেই রেয়াত করা যাবে না—তৃণমূল সুপ্রিমোর এই নিদানের পরেই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ‘সাফাই অভিযান’ শুরু করেছে জোড়াফুল শিবির। বিভিন্ন জেলার পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধি এবং কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ নিয়ে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসা মাত্রই কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে তূণমূল। দল থেকে বহিষ্কার, পদ থেকে অপসারণের পাশাপাশি আত্মসাৎ করা টাকা ফেরত দিতে বাধ্য করা হয়েছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রীর এদিনের নির্দেশে আলোড়ন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
মমতা আরও বলেন, দলের অনেক বিধায়ক নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন। সরকারি অনুষ্ঠান ছাড়া দলের কর্মসূচিতে তাঁদের দেখা যায় না। এরপরই উষ্মার সুরে জঙ্গলমহল এলাকার এক মন্ত্রীর কাছে মমতা জানতে চান, তাঁকে গত তিন মাসে একবারের জন্যও দেখা যায়নি কেন? বেশ বিরক্তির সুর ছিল তৃণমূলনেত্রীর গলায়। একই কারণে দলনেত্রীর তোপের মুখে পড়েন উত্তরবঙ্গে এক মন্ত্রী। দলে নিষ্ক্রিয়, কিন্তু তলে তলে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযাগ বাড়ানো বেশ কয়েকজন বিধায়ক ও নেতা সম্পর্কে নির্দিষ্ট খবর পেয়েছেন মমতা। সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যাঁরা ‘লালকমল’ আর ‘নীলকমল’দের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন, তাঁরা দল ছেড়ে চলে যান।
আগামী বছর রাজ্য বিধানসভার ভোট। তাই লকডাউনের বিধিনিষেধকে তোয়াক্কা না করে রাজনীতির আঙিনায় দেখা যাচ্ছে ডান, বাম এবং গেরুয়া, সব শিবিরকেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই নিরিখে করোনা এবং উম-পুন বিধ্বস্ত বাংলা পুনর্গঠনকে প্রাধান্য দিয়ে দলকে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। বিপর্যয়ের মধ্যেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে তৃণমূল। সেই পন্থাও তিনি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি এই দুঃসময়ে রাজ্য সরকার যে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছে, তার বিবরণও সাধারণ মানুষের দরবারে পেশ করার জন্য দলের সমস্ত স্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তাঁর স্পষ্ট বার্তা—পঞ্চায়েত থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত দলকে আরও মজবুত করুন। বিজেপির মোকাবিলা করুন। ওরা (বিজেপি) বাংলাকে অশান্ত করার খেলা শুরু করেছে। ওদের প্রতিহত করতে হবে। আগামী নির্বাচনেও আমরাই জিতব।