বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অধিকাংশ মানুষ মাছ ধরার পেশায় যুক্ত। এরমধ্যে ১৫ থেকে ১৯টি ব্লকের কয়েক লাখ মানুষ শুধু ইলিশকে ঘিরে অন্নসংস্থান করেন। প্রতিবছর জুনের ১৫ তারিখ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাগরে ইলিশের মরশুম চলে। গত বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য ইলিশ একেবারেই হয়নি। এবার মার্চ থেকে লকডাউনের জন্য তা আরও মার খেয়েছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে সরকারি নিয়মে মাছ ধরা বন্ধ। তা চলল টানা ৬২ দিন। তাতে বাজারে মাছের আকাল ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যায়। দামও হয়ে গিয়েছে ঊর্ধ্বমুখী। স্বাভাবিকভাবে ১৫ জুন থেকে ইলিশের আশা নিয়ে ৯ হাজারের বেশি ট্রলার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। ওই একদিন সামান্য কিছু ইলিশ পেলেও ১৬ জুন থেকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও গরম বাতাসের কারণে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে। ফলে ফের ধাক্কা।
ট্রলার মালিক সংগঠনের এক রাজ্য নেতা বলেন, টানা ছ’ থেকে সাতদিন জাল ফেলার পর ভালো ইলিশ পাওয়া যায়। গত ১০ দিন খারাপ আবহাওয়ার জন্য কেউ যেতেই পারেনি। শুক্র ও শনিবার থেকে ফের মাছ ধরা শুরু হয়েছে। রবিবার বিকেলে ৪০টি ট্রলার ফিরে এসেছে। সব মিলিয়ে তাতে আট টন ইলিশ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া পমফ্রেট, ম্যাকরেল, ভোলা, ডেলা, টাইগার চিংড়ি, ব্রাউন চিংড়ি, চাপড়া চিংড়ি ও করি মিলিয়ে ১০০ টন মাছ পাওয়া গিয়েছে। আপাতত ঝিরঝিরে বৃষ্টি ও পুবালি বাতাস না-থাকায় সমুদ্রের জলের লবণাক্ত ভাব এখনও কাটেনি। তাই বড় সাইজের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। সবই ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের, লম্বাটে ধরনের। এজন্য স্বাদও হচ্ছে না। আমদানি কমের জন্য দামও বেশি। সাড়ে পাঁচশো থেকে ছ’শো টাকা কেজি। সোমবারও কুড়িটির বেশি ট্রলার ইলিশ নিয়ে ফিরেছে। মৎস্যজীবীদের কথায়, আবহাওয়া অনুকূল হলেই বড় আকারের সুস্বাদু ইলিশের দেখা মিলবে। তা এখন সময়ের অপেক্ষা। কাকদ্বীপের বাজারে ইলিশ মাছ। - নিজস্ব চিত্র