কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাজ্য পুলিস বক্তব্য, মাদক কারবারের বেশিরভাগটাই নিয়ন্ত্রিত হয় মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা এবং শহর শিলিগুড়ি থেকে। গাঁজা, হেরোইন তো রয়েছেই, সঙ্গে ইয়াবা ট্যাবলেট ও কোকেনও আসছে সীমান্ত পেরিয়ে। চোরাপথে নিষিদ্ধ মাদক আমদানির কাজে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে ব্যবহার করে কারবারিরা। ওই মাদকের সিংহভাগই আসে চীন থেকে। তারপর তা অসম হয়ে চলে আসে শিলিগুড়িতে। সেখান থেকে মালদহ, মুর্শিদাবাদ ঘুরে কিছু যায় বাংলাদেশে, কিছু আসে কলকাতায়। এছাড়াও এ রাজ্যে স্থানীয়ভাবে কিছু মাদক তৈরি হয়, যা সরবরাহ করা হয় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। মাদক কারবারিরা ওদিকে শিলিগুড়ি এবং এদিকে কলকাতাকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করে।
কলকাতা পুলিসের বক্তব্য, লকডাউনের সময় বাস, ট্রেন না থাকায় শহরে ঢুকতে পারেনি তারা। বেচাকেনাও বন্ধ ছিল। পরিসংখ্যান বলছে, ২৩ মার্চের পর থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র দুটি কেস হয়েছে। যেখানে জানুয়ারি থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত কেসের সংখ্যা ছিল ২৮। রাজ্য পুলিসের চিত্রও প্রায় এক। জানুয়ারি থেকে লকডাউনের আগে অবধি যেখানে মাদক সংক্রান্ত সাড়ে চারশোর বেশি কেস হয়েছে, সেখানে গত তিন মাসে হয়েছে মাত্র ১৫টি। যার বেশিরভাগটাই হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়।
এদিকে, যে কেরিয়াররা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মাদক পৌঁছে দিত, করোনার আতঙ্কে তারাও সকলে কাজে বেরয়নি এই সময়কালে। শিলিগুড়ি ও মুর্শিদাবাদ থেকে কখনও সব্জির গাড়িতে কিংবা মাছের লরিতে করে অল্পস্বল্প মাদক পাচার হয়েছে বটে, তবে তা কেরিয়ারের অভাবে কলকাতা অবধি আসতে পারেনি। ডার্ক নেট বা পোস্টাল ব্যবস্থাকে ব্যবহারের চেষ্টা হলেও তাতে সফল হয়নি মাদক কারবারিরা। স্বভাবতই এক ঝটকায় অনেকটা কমে গিয়েছে এই সংক্রান্ত কেসের সংখ্যা। অফিসারদের বক্তব্য, আসলে পুলিস সবসময় রাস্তায় থাকায় মাদক কারবারিরা ঝুঁকি নিতে পারেনি। তবে আনলক পর্বে দূরপাল্লার বাস চালু হতেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে নিষিদ্ধ মাদক কারবারে যুক্তরা। সে কারণে এখন মাদক পাচারের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে, কলকাতায় বিভিন্ন পার্টিতে মাদকের চাহিদা রয়েছে। লুকিয়ে চুরিয়ে সেই সব পার্টি শুরুও হয়েছে শহরে। ফলে সেখানে জোগান বাড়াতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক কারবারিরা।