কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গত ২০ মে সকালে রিজেন্ট পার্ক থানার পশ্চিম আনন্দপল্লির বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি করে ও তারপর ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় উইমেনস ক্রিশ্চিয়ান কলেজের ছাত্রী প্রিয়ঙ্কাকে। তদন্তে নেমে রিজেন্ট পার্ক এলাকা থেকে মূল অভিযুক্ত তথা পলাতক প্রাক্তন প্রেমিক জয়ন্ত হালদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি ধৃতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে খুনে ব্যবহৃত পাইপগানের মতো আরও দু’টি অর্ধসমাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। উদ্ধার হয়েছে একটি ড্রিল মেশিন ও প্রচুর বল বিয়ারিং।
সূত্রের খবর, গ্রেপ্তারের পর থেকে পুলিসের সঙ্গে সহযোগিতা করছে জয়ন্ত। রাগের মাথায় প্রাক্তন প্রেমিকাকে খুন করলেও এখন তার মধ্যে একটা অনুশোচনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু কেন সে খুন করতে গেল প্রিয়াঙ্কাকে? জানা গিয়েছে, একটা সময় অভিযুক্ত জয়ন্তের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। হালে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তাই জয়ন্তের ফোন ধরছিলেন না। সেই আক্রোশ থেকেই প্রিয়াঙ্কাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে।
এদিকে, গত ২৫ জুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি, খুনে ব্যবহৃত পাইপগানটি তাঁরা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করছেন বলে জানা গিয়েছে। এই খুনের তদন্তের ফরেন্সিক রিপোর্ট অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ। কারণ, জয়ন্ত গুলির পরিবর্তে পাইপগানে বল বিয়ারিং ও বারুদ ঠেসে ভর্তি করেছিল। কলকাতা পুলিসের ইতিহাসে এটাই প্রথম খুন, যেখানে গুলির বদলে বল বিয়ারিং ব্যবহার হয়েছে।