বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
করোনা উৎপাতের আগে এনআরএস-এ সবক’টি আউটডোর মিলিয়ে সোম থেকে শুক্র প্রতিদিন গড়ে নতুন রোগী আসতেন প্রায় চার হাজার। লকডাউন ঘোষণার পর, ২৬ মার্চ নতুন রোগীর সংখ্যা কমে হয় মাত্র ২৩৮! এপ্রিলে আউটডোরে নতুন রোগীদের আসা আরও কমে যায়। সে মাসে সর্বোচ্চ হয় ২১ এপ্রিল, মাত্র ২৪৫ জন। এক মাস বাদে ২১ মে তা তলানিতে ঠেকে। মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, অর্থোপেডিক, শিশু বিভাগ ইত্যাদিতে দেখাতে এসেছিলেন নতুন টিকিটের মাত্র ১২৩ জন।
জুন মাসে আনলক ওয়ান চালু হতেই রোগীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। মে মাসের যে কোনও দিনের তুলনায় এখন রোগী আসছে চার থেকে পাঁচ গুণ। শুক্রবার সবক’টি আউটডোর মিলিয়ে এনআরএস-এ রোগী হয়েছে ৬৫৬ জন।
করোনার উপদ্রব শুরুর আগে আরজিকর-এর আউটডোরে দিনে চার থেকে পাঁচ হাজার নতুন রোগী দেখাতেন আসতেন। লকডাউনের শুরু হতেই সেই সংখ্যা তলানিতে ঠেকে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে চাকা ঘুরতে শুরু করে। গড়ে রোজ নতুন রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয় ৫৫০। জুন মাসে ফের প্রাণচঞ্চল আউটডোরের ছবি দেখা যাচ্ছে আরজিকর হাসপাতালে। লকডাউনের গোড়ার দিনগুলির তুলনায় এখন নতুন টিকিটের রোগী তিন থেকে চারগুণ বেড়েছে। আউটডোরগুলিতে বর্তমানে রোগী হচ্ছে হাজারের উপর।
পিজির পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হচ্ছে, তা বোঝাচ্ছে ইমার্জেন্সি সিটি স্ক্যানের হিসেব। করোনা পর্বের আগে পিজিতে ইমার্জেন্সি সিটি স্ক্যান হতো ৬৫-৭০টি। লকডাউন পর তা অস্বাভাবিক মাত্রায় কমে যায়। ১ মে হয়েছিল মাত্র ২৩টি। জুন মাসে অবশ্য পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হচ্ছে। ১ জুন ইমার্জেন্সিতে আসা রোগীদের সিটি স্ক্যান হয়েছে ৪৪টি।