কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কেন কমাতে হচ্ছে পাঠ্যক্রম? প্রথমত, উম-পুনের ধ্বংসলীলায় রাজ্যের আট জেলার ১৪ হাজারের বেশি স্কুলের পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে শেষ ১৫ দিনে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ৩০ জুনের পর স্কুল খোলার ক্ষেত্রে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফলে টানা সাড়ে চার মাস বা তারও বেশি সময় স্কুল বন্ধ থাকলে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পুরো সিলেবাস আদৌ শেষ করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দ্বিতীয়ত, এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবিত জেলাগুলির বহু ছাত্রছাত্রীর ঘরবাড়িও ভেঙে গিয়েছে। বইখাতা নষ্ট হয়েছে। অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ মিলছে না। সেক্ষেত্রে পুরো সিলেবাস রাখা হলে পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়তে পারে। এই বিষয়গুলি আঁচ করে আগেই একাধিক শিক্ষক সংগঠন সিলেবাস কমানোর দাবি জানিয়েছিল।
দপ্তর সূত্রে খবর, প্রথম সামেটিভের পড়া হলেও, এপ্রিলে তার পরীক্ষা হয়নি। সেপ্টেম্বেরে দ্বিতীয় সামেটিভ হওয়ার কথা। তারপর মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট রয়েছে। সেই পরীক্ষার আগে ক্লাসে কতটা সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রথম এবং দ্বিতীয় ক্লাস টেস্ট (সামেটিভ) একসঙ্গে হতে পারে। আর একটি উপায় হল, তিনটি পর্যায়ের সিলেবাস মিশিয়ে একটাই পরীক্ষা। তবে কোন প্রস্তাব কার্যকর হবে, তা নিয়েই আলোচনা চলছে। এক আধিকারিক বলেন, ‘কাজটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। কারণ সিলেবাসের যে অংশ বাদ যাবে, তা পড়ুয়ারা পরে শিখবে কী করে? সেটাও মাথায় রাখা দরকার। তার জন্যই শিক্ষকদের থেকে পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। নিশ্চিতভাবে স্কুল খোলার নির্দেশ আসার পর ক্লাসভিত্তিক ক্ষতির পরিমাণ চিহ্নিত করা হবে। সেই মতো চূড়ান্ত সিলেবাস স্থির হবে। তার আগে বিভিন্ন রকমের সিলেবাসের মডেল তৈরি করে রাখব আমরা।’ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, সব বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পাঠ্যক্রম নিয়ে সিলেবাস কমিটি কাজ করছে। ওদের এই বিষয়টা মাথায় রাখতে বলেছি।