সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
টলিপাড়ার কাজের গতি ফেরাতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শ্যুটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত কোনও শিল্পী বা কলাকুশলী কোভিড আক্রান্ত হলে তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার। আর করোনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে সেই ব্যক্তির পরিবার পাবে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। এই টাকার ৫০ শতাংশ বহন করবে সংশ্লিষ্ট চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, বাকি ৪০ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ বহন করবে যথাক্রমে প্রযোজক এবং আর্টিস্ট ফোরাম। তবে, আউটডোর শ্যুটিং এখনই শুরু হচ্ছে না। রেড জোনে শ্যুটিংয়ের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকছে।
আরও বেশ কিছু নিয়ম মেনেই করতে হবে শ্যুটিং। যেমন, এই মুহূর্তে শিশু শিল্পীদের (১০ বছরের নীচে) নিয়ে শ্যুটিং করা যাবে না। পাশাপাশি ৬৫ বছরের বেশি বয়সি অভিনেতারা যদি কাজ করতে ইচ্ছুক হন, তাঁদের লিখিত আবেদন জানাতে হবে। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে ৩৫ জন নিয়েই শ্যুটিং ইউনিট তৈরি হবে। এর ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, বেশ কিছু কলাকুশলী কাজ হারাতে পারেন। তবে ফেডারেশনের তরফে স্বরূপ বিশ্বাস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ কাজ হারাবেন না। রোটেশন পদ্ধতিতে সবাইকে কাজে নেওয়া হবে। একই নিয়ম অভিনেতাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। ধারাবাহিকের কন্টেন্ট একেবারে নতুন করে তৈরি হবে। অভিনেতারা তাঁদের নিজস্ব মেকআপ কিট নিয়ে আসবেন এবং কস্টিউম বাড়ি নিয়ে যাবেন। যে প্রশ্নটা এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে তা হল, অভিনেতারা কি মাস্ক পরে শ্যুটিং করবেন? এই বিষয়ে অরূপ বিশ্বাস খানিকটা রহস্য রেখে বললেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ করা হবে। আপনারা যখন টিভি দেখবেন, তখনই বুঝতে পারবেন। ধারাবাহিক এবং গল্প সবটাই উপভোগ করবেন। আবার সামাজিক দূরত্বও মানা হবে।’
শ্যুটিং শুরুর খবরে ইন্ডাস্ট্রিতে যেমন একদিকে খুশির হাওয়া, তেমনই সুরক্ষা নিয়ে থাকছে আশঙ্কার কালো মেঘও। ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’ ধারাবাহিকে নাম ভূমিকায় রয়েছেন দিতিপ্রিয়া রায়। তাঁর বক্তব্য, ‘অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছি। তার সঙ্গে টেনশনও হচ্ছে। কিছু মানুষের কথা ভেবে মনে হচ্ছে, তাঁদের জন্য কাজ শুরু হওয়া দরকার। আবার স্বাস্থ্যের দিক থেকে ভাবতে গেলে বেশ ভয়ও লাগছে। বাড়ির লোকের যেন কিছু না হয়।’ জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কে আপন কে পর’-এর পল্লবী শর্মা হাসতে হাসতে বলছিলেন, ‘কাজ শুরু হওয়া তো খুবই আনন্দের। কিন্তু ঝুঁকি থাকবেই। আমাদের সবাইকে খুবই সাবধানে থাকতে হবে। আমরা যেন আনন্দে ভেসে গিয়ে মহামারীর কথা ভুলে না যাই।’ ‘কী করে বলব তোমায়’ ধারাবাহিকের স্বস্তিকা দত্তের কথায়, ‘কাজ করতে চাই। তবে, কতটা সুরক্ষিত থাকব, সেটা নিয়েই চিন্তা।’
টেলিভিশনের শ্যুটিং তো শুরু হল, কিন্তু ফিল্মের শ্যুটিং কবে শুরু হবে? অরূপবাবু জানিয়েছেন, দু’-এক দিনেই ফিল্মের বিষয়ে বৈঠক হবে। ফিল্ম এবং টিভির শ্যুটিং একই দিনে শুরু করার চেষ্টা চলছে।
বৈঠকে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন।-নিজস্ব চিত্র