নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন ৩৪০ জন। মারা গিয়েছেন ১০ জন। মৃতদের মধ্যে সাতজন কলকাতার বাসিন্দা। বাকি তিনজনের মধ্যে একজন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, একজন হাওড়া এবং একজনের বাড়ি দার্জিলিং জেলায়। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬,৫০৮। মোট সক্রিয় আক্রান্ত ৩,৫৮৩ জন। করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৭৩ জন। সঙ্গে রয়েছে কো-মরবিডিটিতে মৃত আরও ৭২ জন। নতুন করে আরও ১৭০ জন করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন। রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২,৫৮০ জন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৩৯.৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৯,৪৯৯। মোট পরীক্ষা হয়েছে ২ লক্ষ ৩২ হাজার ২২৫ জনের। প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যার প্রেক্ষিতে পরীক্ষা হয়েছে ২,৫৮০ জনের। রোগীদের পজিটিভ হওয়ার হার ২.৮ শতাংশ। বুধবার স্বাস্থ্য দপ্তর এক বুলেটিনে এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, রাজ্যে এখন সক্রিয় আক্রান্তহীন একমাত্র জেলা হল ঝাড়গ্রাম।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৯৯ জনই কলকাতার। এছাড়াও হাওড়া (৫৮), উত্তর ২৪ পরগনা (৪২), হুগলি (৩৮) সহ অন্য জেলাতেও বেশ কিছু মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। বড়তলা থানার এক পুলিস কর্তা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে দিসান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিন সকালে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে অ্যাপোলো গ্লেনিগলস হাসপাতালে চেকআপের জন্য যান। চিকিৎসকরা চেকআপের পর সুজিতবাবুকে ভর্তির পরামর্শ দেন। ছেলে ও তাঁর স্ত্রীকে বাড়িতেই থাকতে বলা হয়। সূত্রের খবর, করোনা ছাড়াও সুজিতবাবুর সুগার ও অন্যান্য সমস্যা থাকায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি ভালো আছেন বলে জানা গিয়েছে। উপসর্গহীন করোনা থাকায় দমকলমন্ত্রী এতদিন চিকিৎসকদের পরামর্শমতো বাড়িতেই ছিলেন।
বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে বদলি করল রাজ্য। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ গিরিশ বেরাকে আলিপুরদুয়ারে বদলি করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ পূরণ শর্মাকে বদলি করা হয়েছে কলকাতার পাস্তুর ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা পদে। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়কে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসনের উত্তরবঙ্গের হেড কোয়ার্টারে সহকারী স্বাস্থ্য অধিকর্তা পদে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে। এদিকে, বুধবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কোভিড ও ‘সারি’ রোগী মিলিয়ে ২২ জনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।