গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত সোমবার থেকেই অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি কলকাতা ও শহরতলি সহ বিভিন্ন জেলায় কিছু রুটে বাস চালানো শুরু করেছে। এর পাশাপাশি ধীরে ধীরে বিভিন্ন রুটে তারা বাস বাড়াচ্ছেও। যেমন, বুধবার একগুচ্ছ রুটে নতুন করে তারা বাস চালিয়েছে। সেগুলি হল—বারাসত-ধর্মতলা, বারাসত-গড়িয়া, বারুইপুর-বারাসত, ধর্মতলা-রায়চক, কামারহাটি-আলিপুর চিড়িয়াখানা, বাঁধাঘাট-তপসিয়া ইত্যাদি। সমন্বয় সমিতি শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছে, পুরনো ভাড়াই নেওয়া হবে। পরীক্ষামূলকভাবে তারা ৮ জুন পর্যন্ত বাস চালিয়ে দেখতে চায়, আয়-ব্যয়ের পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে। পরিষেবা সচল করা নিয়ে বুধবার বৈঠকে বসেছিল অন্যতম সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট। আলোচনার পর নেতৃত্ব জানিয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার থেকে পর্যায়ক্রমে তারাও বাস চালাবে।
বাস মালিক সংগঠনগুলির নেতৃত্ব এদিন জানিয়েছে, একই ভাড়ায় পরিষেবা দেওয়া হবে। কারণ, তাদের তরফে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি করা হলেও সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে পরিবহণ দপ্তর থেকে একটি কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। সেই কমিটিতে মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। সেখানে আয়-ব্যয়ের হিসেব মালিক সংগঠনগুলি জমা দেবে। তার জন্য আগামী কয়েক দিন বিভিন্ন রুট থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
এদিকে, পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিশ্রুতি মতো এদিন সরকারি বাসের সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের এক কর্তা বলেন, যে কর্মীরা বাড়ি গিয়েছেন, তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। ফলে আগামী দিনে সরকারি বাসের সংখ্যা আরও বাড়বে। তবে এদিনও বিভিন্ন টার্মিনাস এবং স্টপে বাসের অপেক্ষায় যাত্রীদের ভিড় দেখা গিয়েছে। মধ্যবর্তী স্টপ থেকে বাস পেতে সমস্যা হচ্ছে বেশি। যাত্রীদের অবশ্য অভিযোগ, কিছু রুটে বেসরকারি বাসে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক অবস্থার কথা বলে কিছুটা বেশি ভাড়ার জন্য আবেদন করছেন বাসকর্মীরাই।
ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে বাস মালিকদের একাংশের বক্তব্য, এমনিতেই কয়েক মাস গাড়ি বসিয়ে রাখার জন্য ব্যাটারি এবং টায়ারের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সেসব মেরামতির জন্য টাকার প্রয়োজন। তার উপরে বাসে আসন সংখ্যার বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতেও খরচের চাপ বাড়বে। কমিটি ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে সায় দিলে বেসরকারি বাস পরিষেবা আরও সুষ্ঠুভাবে দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে তারা। যদিও যাত্রীদের বক্তব্য, সরকারি বাসের তুলনায় বেসরকারি বাসে পরিষেবার মান যথেষ্ট খারাপ। শুধু ভাড়ার কথা না বলে আগে ওদের পরিষেবা ভালো করার দিকে নজর দেওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, এদিন থেকেই অটো এবং ট্যাক্সিতে তিন থেকে চার জন করে যাত্রী নেওয়া শুরু হয়েছে। অটোর ক্ষেত্রে তিন-চারজন করে যাত্রী নেওয়া হয়েছে উল্টোডাঙা-শোভাবাজার, ধর্মতলা-পার্ক সার্কাস, গোলপার্ক-গড়িয়া সহ অন্যান্য রুটে। বেশ কিছু রুটে ফেরি সার্ভিসও ইতিমধ্যে চালু হয়েছে। পরিবহণ দপ্তর জানিয়েছে, এই রুট সংখ্যা আগামী ৬ জুন থেকে আরও বাড়ানো হবে। এর মধ্যে রয়েছে শ্রীরামপুর-ধোবিঘাট, উত্তরপাড়া-আড়িয়াদহ, উত্তরপাড়া-বাগবাজার, বেলুড়-আড়িয়াদহ, মণিরামপুর-শেওড়াফুলি, তেলেনিপাড়া-শ্যামনগর, কোন্নগর-পানিহাটি, বেলুড়-শিপিং ইত্যাদি।