পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কয়েকদিন ধরেই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্বিগ্ন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ১৫০টি ট্রেন রাজ্যে এসেছে। আরও ৮৫টি ট্রেন আসবে। শুধু শ্রমিক স্পেশাল নয়, আসছে প্যাসেঞ্জার ট্রেনও। আবার শুধু ট্রেন নয়, বিমানেও আসছেন ভিনরাজ্যের লোকজন। তাঁদের অবশ্য কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক বলেই নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে, যে পাঁচটি রাজ্য হটস্পট বলে চিহ্নিত, যেমন মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু, সেখান থেকে কেউ এলেই সরকারি কোয়ারেন্টাইন বা প্রোটোকল মেনে সব রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।
আগামী ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে পরিযায়ীদের নিয়ে আরও ট্রেন আসবে। ফলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সেই উদ্বেগ থেকেই কোভিড হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর। অন্য রাজ্য করার আগে মমতাই প্রথম কলকাতার এম আর বাঙ্গুরকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। বলাবাহুল্য, ১০ দিন আগেও রাজ্যে ছ’টি জেলা সম্পূর্ণ গ্রিন জোন বলে চিহ্নিত ছিল। কিন্তু সোমবারের হিসেব অনুযায়ী রাজ্যে একমাত্র কালিম্পং ছাড়া সর্বত্রই করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে। এমনকী যে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, কোচবিহার আলিপুরদুয়ারে এতদিন করোনা রোগীর দেখা মেলেনি, সেখানেও দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। রাজ্যের প্রান্তিক জেলা বলে পরিচিত কোচবিহারে তিনদিন আগেও কোনও করোনা রোগী ছিল না। গত তিনদিনে সেই সংখ্যা লাফিয়ে ৮৭-তে পৌঁছেছে। বীরভূমে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬০। একইরকম ভাবে উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫৯। মালদহে ১৪২। বাঁকুড়াতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩। বাড়ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও। দ্রুত বাড়ছে হুগলিতেও। এই নিয়ে নবান্নের শীর্ষ কর্তারা দীর্ঘ আলোচনা করেন সোমবার। সেখানেই নতুন কোভিড হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।