বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পর্যটন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বকখালির হেনরি আইল্যান্ড, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, সজনেখালি পর্যটন নিবাস, পাথরপ্রতিমার ভগবৎপুর কুমির প্রকল্প, বনিক্যাম্প, কলসদ্বীপ, গোবর্ধনপুরে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে। এগুলি সবই সরকারি সংস্থা। বেসরকারিভাবে মৌসূনি দ্বীপে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর পরিচালনায় ক্যাম্প হাউস রয়েছে। গোসাবার পাখিরালয়, লাহিড়ীপুর, সাতজেলিয়া, লাক্সবাগান, শান্তিপুর ও পাথরপ্রতিমার জি প্লটে বেসরকারি ট্যুরিস্ট লজ রয়েছে। কোনওটিরই অস্তিত্ব নেই। কোথাও ঘরের ছাদ উড়ে গিয়েছে, কোথাও পুরো পরিকাঠামো মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গিয়ে সব জায়গা এখন অন্ধকারে। মৎস্য দপ্তরের অধীন বকখালির হেনরি আইল্যান্ডের ভিতর কয়েক হাজার গাছ ছিল। অধিকাংশ বুলবুল ঝড়ে শেষ হয়ে গিয়েছিল। বাকি যা ছিল তা এবার শেষ। পর্যটকদের থাকার জন্য এ, বি এবং সি তিনটি সেক্টরে লজগুলির প্রতিটির মাথার টিনের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। কাচের জানালা ভেঙেছে। বিদ্যুতের তার ও খুঁটি একটিও দাঁড়িয়ে নেই। ১১০০ ভোল্টেজের সংযোগের ব্যবস্থাও মুখ থুবড়ে পড়েছে। ওই আইল্যান্ডের মধ্যে চিংড়ির চাষ হয়। সেই চাষের জন্য কয়েকশো শেডসহ সরঞ্জাম সব উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে। অধিকাংশ জায়গা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ আড়াই কোটির উপর বলে জানিয়েছে মৎস্য দপ্তর। একই অবস্থা ফ্রেজারগঞ্জেও। পর্যটন দপ্তরের অধীন বকখালি টুরিষ্ট লজে অবশ্য বুলবুলের মতো ক্ষতি হয়নি। তবে উম-পুনের দিন বৃষ্টিতে সামনের ঝাউগাছের জঙ্গল নষ্ট হয়েছে। রায়দিঘি রেঞ্জের বনি ক্যাম্প ও কলস দ্বীপ, ভগবৎপুর কুমির প্রকল্পের লজ থেকে বনকর্মীদের আবাসন ভেঙে গিয়েছে। বিদ্যুৎ নেই। সব মিলিয়ে কবে এই ক্ষতি কাটিয়ে ফের দাঁড়ানো যাবে, সেই ব্যাপারে অনিশ্চিয়তায় পর্যটনকেন্দ্রগুলি।