কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম, মালদহ, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া প্রভৃতি জেলায় করোনার সংক্রমণের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাচ্ছে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা। সরকারি হিসেব বলছে, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে ১০ দিন আগেও করোনার সংক্রমণ ছিল না। কিন্তু শ্রমিক স্পেশাল করে পরিযায়ী শ্রমিকরা আসার পরই তা লাফিয়ে বেড়ে যাচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের হোম কোয়ারেন্টাইন বা সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রেখেও সংক্রমণ আটকানো যাচ্ছে না।
এই উদ্বেগ মাথায় নিয়েও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, রাজ্যে জীবন-জীবিকা দ্রুত স্বাভাবিক হোক। গত দু’মাসে রাজ্যের আর্থ-সামাজিক অবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। হকার, দোকানদার, অটো, টোটোচালক, পরিবহণ শ্রমিক, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের আয় যেমন প্রায় বন্ধ, তেমনি আবার রাজ্য সরকারের আয়ও থমকে গিয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আজ সোমবার থেকেই ছোট, মাঝারি, ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শিল্প, খনিজ ও আবাসন ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হোক। ঠিক যত আসন আছে, ততজন যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করবে বলেও নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য। পাশাপাশি সব ধর্মীয় স্থান সংশ্লিষ্ট থানার অনুমতি নিয়ে খুলে যাচ্ছে। হকারদেরও একদিন অন্তর একদিন বসার অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। তবে তা কোন নিয়মে হবে, তার জন্য পরিকল্পনা করতে পুলিসকে জরুরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে হোটেল ৮ তারিখ থেকে চালু হবে। বেশ কিছুদিন ধরেই গ্রামীণ এলাকায় কাজকর্ম জোরদারভাবে শুরু হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চান, গ্রামের মানুষের হাতে এই দুর্দিনে কিছু টাকা পৌঁছে যাক, সেই কারণেই তিনি ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ সড়ক যোজনা, বাংলার আবাস যোজনার মত প্রকল্পে গুরুত্ব দিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ন’টি জেলার পুনর্গঠনেও ১০০ দিনের কাজে যুক্ত কর্মীদের নিয়োগ করার জন্য পঞ্চায়েত দপ্তরকে বলা হয়েছে। নবান্ন চায়, একদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য সবরকম সতর্কতা বজায় থাকুক, পাশাপাশি সামাজিক প্রকল্পের কাজও আর বিলম্ব না করে শুরু হয়ে যাক। না হলে অর্থনীতির ব্যাপক সঙ্কট দেখা দেবে আগামী দিনে। এমনিতেই ঝড়ের দাপটে রাজ্যের সাতটি জেলা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারই মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজ্যকে সচল করার পথে নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে।