সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এ ব্যাপারে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, এবার রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করেছে। খাদ্যদপ্তরের নির্দেশ মতো আমরা পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্য দপ্তরে পাঠাচ্ছি। দ্রুত বিশেষ কুপনও বিলি করা হবে।
লকডাউনে বিপর্যস্ত রাজ্যবাসীকে অক্সিজেন জোগাচ্ছে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে দেওয়া বিপুল খাদ্যসামগ্রী। প্রত্যেক রাজ্যবাসীর জন্য মাসে পাঁচ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। তার গুণমানও যথেষ্ট ভালো। তবে, শুধু কার্ডধারীরাই নয়, এই বিপদের সময়ে যাঁদের কার্ড নেই, তাঁদেরও কুপনের মাধ্যমে বিশেষ রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। তাই এতদিন যাঁরা রেশনের দোকান কোথায় সেটাই জানতেন না, এবার তাঁরাও বিপুল সামগ্রী নিতে রেশনের লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। মে মাস থেকে রাজ্যবাসী এই রেশন পাচ্ছেন। কিন্তু মে মাসের শেষ দিক থেকেই পরিস্থিতির বদল এসেছে। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি প্রভূতি রাজ্য থেকে কাজ হারিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ এরাজ্যে ফিরছেন। মে মাসে বহু মানুষ এসে গিয়েছেন। আরও বহু মানুষ আসছেন। তার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। অর্থনীতি সেই তিমিরেই। কারও হাতেই টাকা নেই। তাই এই সর্বহারা পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে বাংলায় এসে অভূক্ত না থাকেন তারজন্য তৎপর হল রাজ্য সরকার। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জুন ও জুলাই দু’মাস তাঁরাও বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী পাবেন, যাতে প্রাথমিক ধাক্কা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারেন। যে সব পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের এখানে রেশন কার্ড আছে তাঁরা স্বাভাবিক নিয়মেই রেশন পাবেন। কিন্তু যে সব শ্রমিক বছরের পর বছর ভিন রাজ্যে কর্মরত থাকায় এখানকার রেশন কার্ড নেই, তাঁদের দেওয়া হবে বিশেষ কুপন। যা দেখিয়ে এই দু’মাস রেশন মিলবে। যাতে জুন মাসেই কুপনের মাধ্যমে রেশন দেওয়া সম্ভব হয় সেদিকে সচেষ্ট হয়েছে খাদ্যদপ্তর। পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের সদস্য পিছু পাঁচ কেজি করে চাল ও প্রতি পরিবারকে এক কেজি করে চানা দেওয়া হবে। তাতে কয়েক লক্ষ মানুষকে রেশন দেওয়ার বাড়তি দায়িত্ব আসতে চলেছে রাজ্য সরকারের কাঁধে।