গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কিন্তু পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে সে এতদিন এলাকায় বহাল তবিয়তে থাকল কীভাবে? গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা যেমন তাকে ধরার জন্য ওঁত পেতেছিল তেমনই সেও তার নিরাপত্তার জন্য আলাদা বলয় তৈরি করে রেখেছিল। গ্রামে কখন কে আসছে সেসব খবর তার কাছে পৌঁছে যেত। কয়েকমাস আগে সাদা পোশাকের দুই গোয়েন্দা গ্রামে পৌঁছয়। তারা একটি দোকানে জিনিস কেনার অছিলায় করিমের খবর জানতে চায়। কিন্তু গোয়েন্দারা তার সম্পর্কে কোনও তথ্য না পেলেও করিমের কাছে তাদের আসার খবর পৌঁছে যায়। তারপরই সে আবার ডেরা বদল করে। সে দীর্ঘদিন ধরে সতর্কভাবে মোবাইল ব্যবহার করলেও কয়েকদিন আগে একটি ফোনকলই তার কাছে কাল হয়ে যায়। সে কোথায় যাচ্ছে সেসম্পর্কে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়ে যান।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, সংগঠনের অনেক সদস্যর নাম এখনও তদন্তকারীদের খাতায় লিপিবদ্ধ হয়নি। তাদের মাধ্যমেই সে মূলত বিভিন্ন জেলায় বার্তা পাঠাত। সামশেরগঞ্জ থেকে বাংলাদেশে যাওয়া কোনও কঠিন কাজ নয়। সেখানেও তার বিশ্বস্তরা পৌঁছে যেত। মুর্শিদাবাদের তিন চারটি থানা এলাকায় সে সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন করেছে। তাকে হাতে পাওয়ার পর এখন সালাউদ্দিনের হদিশ পেতে গোয়েন্দারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কলকাতায় করিমকে বিভিন্ন সংস্থা জেরা করছে। তবে তার কাছ থেকে খুব বেশি তথ্য পেতে তারা সফল হয়নি। সে গোয়েন্দাদের প্রথমে জানিয়েছিল, চিরকুটের মাধ্যমে সে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। তার স্ত্রীর হাতে লেখা একটি চিঠি সে পেশ করার চেষ্টা করে। তাতে লেখা ছিল, ‘আজকেও বাইরের কিছু লোক বাড়ির চারপাশে ঘোরাফেরা করেছে। মনে হয় ওরা পুলিসের লোক’। যদিও গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, প্রায়ই সে নিজের বাড়িতে মাঝরাতে আসত। তার স্ত্রী বলেন, দেড় মাস আগে একবারই ওকে চিঠি লিখেছিলাম। কিন্তু কার মাধ্যমে সেই চিঠি পাঠিয়েছিলেন? সেই প্রশ্নের জবাব অবশ্য তিনি দেননি।