কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার দ্বিতীয় ধাপে স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোচিং সংস্থাগুলিকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে চালু করা হবে আগামী জুলাই মাসে। তার আগে রাজ্যগুলি অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক রিপোর্ট পেলে জুলাই মাসে শিক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় থমকে থাকা পর্বও চালু করে দেওয়া হবে। এরপর লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার সর্বশেষ পর্ব অর্থাৎ তৃতীয় ধাপে করোনা সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি যাচাই করে চালু করা হবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণ, মেট্রো রেল, সিনেমা হল, জিমন্যাসিয়াম, সুইমিং পুল, বিনোদন পার্ক, থিয়েটার, বার, অডিটোরিয়াম। সুতরাং এই স্থানগুলি আপাতত বন্ধই থাকছে। কবে খোলা হবে সেই তারিখ সরকারিভাবে জানানো হবে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার পর।
আপাতত সবকিছু স্বাভাবিক করার মধ্যেই ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন থাকছে শুধু কন্টেইনমেন্ট জোনে। তবে রাজ্যের মধ্যে এবং আন্তঃরাজ্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না। এই যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনও আগাম অনুমোদন বা সরকারি পাসেরও প্রয়োজন নেই। তবে যদি কোনও রাজ্য স্বাস্থ্যবিধি ও করোনা সংক্রমণের প্রবণতা লক্ষ্য করে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চায়, সেটা করতেই পারে। কন্টেইনমেন্ট জোন ছাড়াও সর্বত্র নাইট কার্ফু অর্থাৎ রাতে যাতায়াতের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে। সেক্ষেত্রে অবশ্য সময়সীমার রদবদল হয়েছে। এতদিন এই নাইট কার্ফু জারি করা ছিল সন্ধ্যা সাতটা থেকে পরদিন সকাল সাতটা পর্যন্ত। অর্থাৎ ১২ ঘন্টা। আজ জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাত ৯ টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে ওই নিষেধাজ্ঞা। একমাত্র জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এই সময়সীমায় চলাফেরা করা যাবে না।
আজ ঘোষিত নির্দেশিকার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হল, অর্থনীতিকে স্বাভাবিক করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি একযোগে যে মরিয়া তা বোঝা যাচ্ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সার্বিক স্বাভাবিকতা ফেরানোর জন্য প্রয়োজন লোকাল ট্রেন ও মেট্রো রেল চালু করা। আজ গ্রহণ করা সিদ্ধান্তে বাংলার ‘লাইফলাইন’ লোকাল ট্রেন নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি। সেই সিদ্ধান্ত আগামীদিনে নেবে রেল। যদিও করোনার সংক্রমণ কমছে, এরকম লক্ষণ কিন্তু নেই। বরং সংক্রমণ বাড়ছেই। সেই কারণে কেন্দ্র মোট ১১টি শহরকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ প্রবণ হিসেবে বাছাই করে সেগুলিকে বিশেষ নজরে রাখার কথা বলেছে। এই শহরগুলি হল, দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, আমেদাবাদ, পুনে, থানে, জয়পুর, সুরাট এবং ইন্দোর। তাই জীবন ও অর্থনীতি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করলেও ব্যক্তিগত সতর্কতা সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যেতে হবে বলেই আজ কেন্দ্র জানিয়েছে। বলা হয়েছে, যাঁদের বাড়ি থেকে কাজ করা সম্ভব, তাঁরা যেন সেটাই করে।