কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
১ জুন থেকে ধর্মীয় স্থানগুলি খোলার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বলা হয়েছে, একসঙ্গে ১০ জনের বেশি ঢুকতে পারবেন না। কিন্তু, সর্বসাধারণের জন্য দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের দরজা খুলতে কয়েকদিন সময় নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে কয়েকটি পদক্ষেপ করে একটি শুভদিন দেখে মন্দির খোলা হবে বলে তারা জানিয়েছে। তবে সরকারের নির্দেশিকা মেনেই মন্দির খোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কালীঘাট কর্তৃপক্ষ। জোড়-বিজোড় নীতি মেনে মন্দিরের সামনের ডালার দোকানগুলি খোলার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
বেলুড় মঠ খোলার ক্ষেত্রে ১৫ দিন সময় নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৮০-৯০ বছর ঊর্ধ্ব প্রবীণ মানুষ এখানে রয়েছেন। তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকটি মাথায় রাখতে হচ্ছে। খোলার পর কমানো হবে দর্শনের সময়সীমা। তা সকালে ৯টা থেকে ১১টা আবার বিকেলে ৪টে থেকে ৬টা করার কথা ভাবা হয়েছে। সন্ধ্যারতি দর্শনেও ভক্তদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। একইভাবে আরও ১৫ দিন তারাপীঠ মায়ের মন্দির না-খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৪ জুন বৈঠক করে মন্দির খোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্দির কমিটিগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভক্তদের প্রবেশের সময় থার্মাল গান দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। তারপর স্যানিটাইজেশন টানেল ও সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে পুজো দেওয়ার পর যত্রতত্র ঘোরাফেরা করা যাবে না। পুজোর ডালির দোকান বা আশপাশের খাবারের দোকানগুলি সামাজিক বিধি মেনে কীভাবে খোলা হবে, সে নিয়েও পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা শুরু হয়েছে।
কলকাতা ও শিলিগুড়ি ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৫ জুন পর্যন্ত ভক্তদের জন্য মন্দিরের মূল দরজা বন্ধ থাকবে। মালদহের ইংরেজবাজার শহরের ঐতিহ্যবাহী মনস্কামনা মন্দির এখনই পুরোপুরি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। খুলছে না কল্যাণেশ্বরী মন্দিরও।
কোচবিহারের দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে থাকা মদন মোহন সহ অন্যান্য মন্দিরগুলি নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে কোচবিহারের ডিএম পবন কাডিয়ান জানিয়েছেন। তবে বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দির সোমবার থেকে বিধিনিষেধ মেনেই খোলা হবে। যদিও মায়ের ভোগ দেওয়া হলেও ভক্তদের বসিয়ে ভোগ খাওয়ানো বন্ধ থাকবে। দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি কালীবাড়ি সোমবারই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে মাইথনের কল্যাণেশ্বরী কালীমন্দির সোমবার খুলছে না। তমলুকের বর্গভীমা মন্দির খোলার ব্যাপারে আজ রবিবার বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মন্দির কমিটির সম্পাদক শিবাজি অধিকারী জানিয়েছেন। বহরমপুরের বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি এবং নবগ্রামে কিরীটীশ্বেরী মন্দিরও সোমবার থেকে বিধিনিষেধ মেনে খোলা হবে। বালুরঘাটের বোল্লা কালী মন্দির সোমবারই খুলে দেওয়া হবে। তবে পুজো দিতে ভিতরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।