কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বাংলাদেশে ফেনসিডিল তৈরি অনেক আগেই বন্ধ হয়েছে। ভারতে একটি মাত্র ওষুধ কোম্পানি প্রয়োজনমাফিক ফেনসিডিল তৈরি করে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি সেগুলি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সহজেই পাচার করছে। বিএসএফের রিপোর্ট বলছে, গত ২৫ মার্চ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আওতাধীন ৯০০ কিমি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিলের বোতল পাচারের চেষ্টা হয়। এর মধ্যে বিএসএফ বাজেয়াপ্ত করেছে ৩৩ হাজার ৫৩৬টি বোতল। তবে সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের কথায়, যা বাজেয়াপ্ত করা যায়নি, সেই সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি। কারণ সীমান্তের অধিকাংশ জায়গাতেই কাঁটাতার নেই। রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে ঘেরা সীমান্তের রাস্তায় সবসময় নজরদারি চালানো হয় না। উল্টোদিকে ওপারের বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের নজরদারিও ঢিলেঢালা। ফলে রাতের অন্ধকারই পাচারকারীদের কাছে ‘আদর্শ’ সময়। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, সীমান্তে অনেক প্রতিকূলতা রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। যেকারণে পাচারকারীরা ধরা পড়ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনস্থ সীমান্ত দিয়ে পাচারের সময় ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৪১৭টি এবং ২০১৯ সালে ২ লক্ষ ১২ হাজার ২৪৫টি ফেনসিডিলের বোতল বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ মে পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার ৫৫১টি বোতল। বিএসএফের এক কর্তার দাবি, এবছরের হিসেব গত দু’বছরকে টপকে যাবে।