পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর জেএমবির মডিউল ভেঙে যায়। সংগঠনের অন্যতম মাথা কওসর ও ইউসুফ কিছুদিন বাংলাদেশে পালিয়ে থাকার পর ২০১৫ সাল নাগাদ রাজ্যে ফিরে মুর্শিদাবাদ থেকেই সংগঠন তৈরির কাজ শুরু করে। নতুন জঙ্গি নিয়োগ তাদের মাধ্যমেই হচ্ছিল। এই দুই নেতার হাত ধরেই সুতির বাসিন্দা আব্দুল করিম ’১৫ সালে জেএমবিতে যোগ দেয়। এই সময় সেখানে আসে সংগঠনের প্রধান সালাউদ্দিন সালেহান। তার হাতেই বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়েছিল করিম। এমনকী সালাউদ্দিনকে নিজের বাড়িতে রাখার ব্যবস্থাও করে সে। এরপর মুর্শিদাবাদ থেকে ছেলে নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে।
’১৮ সালে তার বাড়িতে এসটিএফ হানা দেয়। যদিও তার আগেই পালিয়ে যায় সে। বেঙ্গালুরুতে গিয়ে কওসরের সঙ্গে থাকতে শুরু করে। দু’জনে মিলে নতুন নতুন পদ্ধতিতে বিস্ফোরক তৈরির কারখানা খোলে সেখানে। এর সঙ্গেই বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, তেলেঙ্গানা, দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে নতুন ছেলেদের নিয়োগ শুরু করে।
মূলত রাজমিস্ত্রির কাজ করা যুবকরাই তার টার্গেট। কওসরকে সঙ্গে নিয়ে বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটায় এবং এর আইডি নিজে তৈরি করে করিম। কওসর ধরা পড়ার পর সময় সে বেঙ্গালুরুতে ছিল, এরপর পালিয়ে যায় চেন্নাইতে। পরে সেখান থেকে বাংলাদেশ চলে গিয়েছিল বলে জানতে পারছেন আধিকারিকরা। ৬ মাস বাংলাদেশে কাটানোর পর জেএমবি প্রধানের নির্দেশমতো আবার ভারতে এসে সংগঠন তৈরির কাজ শুরু করে। সূত্রের খবর, গোটা দেশে করিমের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রয়েছে। তেলেঙ্গানা কর্ণাটক সহ একাধিক রাজ্য তাকে খুঁজছে। দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে মুর্শিদাবাদ ও মালদহের বহু কর্মহীন যুবকের মগজ ধোলাইয়ের কাজ শুরু করেছিল করিম। এরই ফাঁকে সে কাউকে জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগ করেছে কি না তা দেখা হচ্ছে।