কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর আরও ঘোষণা, পয়লা জুন থেকে বাসে সব আসনেই যাত্রীরা বসতে পারবেন। তবে কোনও যাত্রীকেই বাসে দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না। নবান্নে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোভিড সংক্রমণ রোধে জীবনযাপনের পদ্ধতি বদলাতে হবে। করোনাকে সঙ্গে নিয়ে সাবধানতার সঙ্গে কাজকর্ম স্বাভাবিক করতে হবে। দ্রুত করোনা ছড়াচ্ছে, তাই ব্যক্তিগত সুরক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেন তিনি। বলেন, মাস্ক পড়তেই হবে। স্যানিটাইজারও সঙ্গে রাখতে হবে। জ্বর হলেই ডাক্তার দেখান। তবে স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরো জুন মাস বন্ধ থাকবে বলেই তিনি জানিয়েছেন।
আজ মুখ্যমন্ত্রী বাসে যতগুলি আসন আছে, ঠিক ততজন যাত্রীকে সফরের অনুমতি দেওয়ায় খুশি বেসরকারি বাস মালিকদের অনেকেই। তাদেঁর বক্তব্য, বেসরকারি বাস নিয়ে এতদিন ধরে যে অচলাবস্থা চলছিল এবার তা কাটতে পারে। সরকারের এই নির্দেশ নিয়ে বাস মালিক সংগঠনগুলির নেতাদের মধ্যে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও পরিস্থিতি যে কিছুটা ইতিবাচক হচ্ছে, তা বলছেন নেতৃত্বেরই একাংশ। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই নিজেদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন বিভিন্ন বাস মালিক সংগঠনের নেতারা। তবে বাসের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তের পর অটোর ক্ষেত্রেও যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি ওঠা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিনের গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে রেলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের শ্রমিক ভাইরা আসছেন, আমরা খুশি। কিন্তু একসঙ্গে গাদাগাদি করে কেন আসবেন? মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি হটস্পট এরিয়া। সেখান থেকে গাদা গাদা লোক আসছেন। একটা সিটে তিন-চারজন কেন বসবেন। রেল একটু বেশি ট্রেন দিক না। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ট্রেনে মানুষ খাবার পাচ্ছেন না, জল পাচ্ছেন না। মরে যাচ্ছেন। তাঁর প্রশ্ন, আপনারা কি করোনা এক্সপ্রেস চালাতে চাইছেন? রেলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ওই ট্রেনগুলিতে বগি বাড়ান। খরচা তো আমরাই দিচ্ছি। তিনি জানান, এদিন পর্যন্ত পাঁচ লক্ষ মানুষ ভিন রাজ্য থেকে এখানে এসেছেন। তারমধ্যে ট্রেনে এসেছেন ৭৫ হাজার। যে সমস্ত শ্রমিক ভাইরা ফিরে আসছেন, তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখার জন্য স্কুলবাড়ি নেওয়া হয়েছে। মনে রাখবেন যাঁরা আসছেন তাঁদের অনেকের মধ্যেই করোনা রয়েছে। তাঁদের তো কোনও দোষ নেই। কিন্তু যেখান থেকে আসছেন সেখানে তাঁদের টেষ্ট করা হয়নি। আমাদের এখান থেকে যাঁরা গিয়েছেন তাঁদের তো আমরা টেষ্ট করেই পাঠিয়েছি। তিনি বলেন, করোনা অনেকটাই কন্ট্রোলে এসে গিয়েছিল, এখন রেলের পরিকল্পনার অভাবেই দ্রুত ছড়াচ্ছে।
কলকাতায় খুলে গিয়েছে পার্লার। ছবি: পিটিআই