বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, তার কাছে থেকে একটি ব্যাগ, মোবাইল এবং তার আত্মীয়ের একটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই জঙ্গি নেতা বিস্ফোরক তৈরিতে সিদ্ধহস্ত ছিল। বিভিন্ন জায়গায় সে বিস্ফোরক সরবরাহ করত। দু’বছর আগে তার বাড়ি থেকে পুলিস দু’টি বস্তায় প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল। এছাড়া বিভিন্ন সময় সে জেএমবির সদস্যদের আশ্রয় দিয়েছে। জঙ্গিপুর মহকুমায় জঙ্গি মডিউল সক্রিয় করার লক্ষ্য নিয়ে সে এগচ্ছিল। সে এতদিন পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করত। ব্যবহার করত একাধিক সিমকার্ড। স্কুলের গণ্ডি না পেরলেও প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মডিউল সক্রিয় করার চেষ্টা করছিল। তদন্তকারীরা তার মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরেই তার অবস্থান যাচাই করার চেষ্টা করেছিল। সে তার এক আত্মীয়ের মোবাইলে সম্প্রতি ফোনও করেছিল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণেও তার নাম জড়ায়। বিভিন্ন সময় পুলিস তার খোঁজে বাড়িতে হানা দিয়েছে। তবে সে দু’বছর পাঁচ মাস আগেই বাড়ি ছেড়ে চম্পট দিয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে সে ঝাড়খণ্ড, বিহার, অসম সহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছে। এরমধ্যে সে বাংলাদেশে গিয়েছিল কি না তদন্তকারীরা খোঁজ নিয়ে দেখছেন।
পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন তাদের সঙ্গে করিমের যোগাযোগ ছিল না। স্ত্রী পারভিন বিবি বলেন, বহুদিন বাড়ি আসেনি। চার ছেলেকে নিয়ে আমি সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চালাই। আত্মীয়া সফেদা বিবি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাঁধে ব্যাগ নিয়ে হঠাৎই আমাদের কাশিমনগরের বাড়িতে আসে। অনেকদিন ওকে দেখিনি। তাই প্রথমে থতমত হয়ে গিয়েছিলাম। বাড়িতে ঢোকার পর বিশেষ কথা বলেনি। ভাত, ডাল আর ডিম সেদ্ধ খেয়ে রাত ১০টা নাগাদ সে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ১টা নাগাদ পুলিস বাড়ি ঘিরে ফেলে। পরে বাড়িতে ঢুকে ওকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে চলে যায়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদে ফেরে করিম। এই ক’বছর কেরল, তামিলনাড়ু-সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন এলাকায় এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড়ে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। সম্ভবত লকডাউনে বিপাকে পড়ে সম্প্রতি এলাকায় ফেরেন করিম।
বাংলাদেশের রাজশাহি, চাঁপাইডাঙা এলাকাতে জেএমবি মাথা তোলার চেষ্টা করছে। এরাজ্যেও তারা জাল ছড়ানোর জন্য বেশ কয়েক বছর ধরেই উঠেপড়ে লেগেছে। তবে করিম ধরা পড়ে যাওয়ায় মুর্শিদাবাদে তাদের সংগঠন সাময়িকভাবে বড় ধাক্কা খাবে বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন। জেলার আরও কয়েকজনকে তদন্তকারীরা স্ক্যানারে রেখেছেন। করিম সংগঠনে নিয়োগের কাজও করত। তবে তার মূল কাজ ছিল বিস্ফোরক এবং অস্ত্র সরবরাহ করা। বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের আগে সে বিস্ফোরক সরবরাহ করেছিল বলে তদন্তকারীদের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল।