কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সুজিত বসুর নিরাপত্তারক্ষী, চালক সহ সকলের কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। একজন বাদে কারও করোনা মেলেনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ববি (ফিরহাদ হাকিম) ও সুজিত খুব কাজ করছে। সুজিতের করোনা হয়েছে। বাড়িতে আছে, ভালো হয়ে যাবে।
এদিকে, রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৭৭ জনের করোনা হয়েছে। মারা গিয়েছেন আরও সাতজন। তাঁরা কলকাতা, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা ও নদীয়ার বাসিন্দা। রাজ্যে মোট ও সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ৪৮১৩ ও ২৭৩৬ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩০। কো-মরবিডিটিতে আরও ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, নতুন করে আরও ১০৭ জন রোগী বাড়ি ফিরেছেন। ফলে করোনা জয়ীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭৭৫। সুস্থতার হার ৩৬.৮৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯২৮২ জনের কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষা হয়েছে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫১ জনের। প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় পরীক্ষা হচ্ছে ২০৫৬ জনের। শুক্রবার এক বুলেটিনে এই তথ্য জানিয়েছে রাজ্য।
তারা আরও জানিয়েছে, রাজ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০। আলিপুরদুয়ারেও চারজনের করোনা ধরা পড়ায় রাজ্যে সম্পূর্ণ করোনামুক্ত রইল একমাত্র কোচবিহার। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৭১ জনই কলকাতার বাসিন্দা। নতুন আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে তারপর নাম আসছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর জেলার।
এদিকে, করোনা আক্রান্ত এক সিআইএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হল গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সে। তাঁর নাম সুশান্তকুমার ঘোষ (৫৮)। তিনি হেড কনস্টেবল ছিলেন। গত ১২ মে করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, ২৮ মে মৃত্যু হয়। গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই সংস্থায় মোট ৪১ জন জওয়ান আক্রান্ত হন। ৩৮ জন সুস্থ হয়েছেন। বাকি তিনজনের মধ্যে একজন আগেই মারা যান। একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তৃতীয় জন বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান। সুশান্তবাবু গত দু’বছর ধরে কিডনির রোগে ভুগছিলেন। ডায়ালিসিসও চলছিল। উল্লেখ্য, এদিনই হাওড়ার একটি কোভিড হাসপাতাল থেকে ১০১ জন রোগী বাড়ি ফেরেন।
অন্যদিকে, করোনার মধ্যে চোখের চিকিৎসা ও অপারেশনে কী কী সতর্কতা নেওয়া উচিত, তার একটি বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ করেছে সরকার। -ফাইল চিত্র