কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলা কৃষিদপ্তরের হিসেব মতো, ৫০ হাজার ৯৭৮ হেক্টর জমিতে তিল ও বাদাম চাষ হয়েছিল। তার সবটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ৪৫ হাজার ৮৮৯ মেট্রিক টন ফসল হতে পারে ধরে নিয়ে কৃষিদপ্তরের হিসেবে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১১৫ কোটি টাকা। এবারের ঝড়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতির তালিকাতেই আছে তিল ও বাদাম চাষ। জেলায় এবার পাট চাষ হয়েছিল মাত্র ১১ হাজার হেক্টর জমিতে।
হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, পাট চাষের বিকল্প হিসেবেই তিল ও বাদাম চাষ শুরু করা হয়েছিল। চাষিদের মধ্যে তা জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল। তবে উম-পুনের জেরে এবারের ফলনের সবটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই ক্ষতির জেরে চাষিরা তিল চাষে উৎসাহ হারালে, তা জেলার কৃষিঅর্থনীতির জন্য ভয়ানক হবে।
জিরাটের কোবুরা গ্রামের সুশান্ত মণ্ডল, সীতারাম প্রামাণিক অতীতে প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে পাট চাষ করতেন। এবার পুরো জমিতেই তিল চাষ করেছিলেন। যা উম-পুন ধ্বংস করে দিয়ে গিয়েছে। দু’জনেই বলেন, একটা চাষের পাওয়া টাকাতেই অন্য চাষ করি। যেভাবে তিলের ফলন পুরোটাই নষ্ট হয়েছে, তাতে পরবর্তী চাষ কী করে করব জানি না। পাটের ক্ষতির কারণে তিলে হাত দিয়েছিলাম, সেটাতেও সেই সর্বনাশই হল।
বলাগড় বরাইলের তিল চাষি ধনঞ্জয় পলতা বলেন, তিলে লাভের মুখ দেখছিলাম। কিন্তু, এবার সব লাভই উম-পুনের খেসারত দিতে চলে গেল।