পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত সপ্তাহেই রাজ্য সরকার কনটেইনমেন্ট জোনকে তিন ভাগে ভাগ করে। এফেক্টেড জোন(এ), বাফার জোন(বি) এবং ক্লিন জোন (সি)। এফেক্টেড জোন মানে সংক্রমিত এলাকা, যেখানে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। বাফার জোনে বিধিনিষেধ মেনে কিছু ছাড় দেওয়া হবে। আর ক্লিন জোনে পুরো ছাড় দেওয়া হবে। সেই হিসেবে দেখা যায়, এ ও বি জোন মিলিয়ে রাজ্যে মোট কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৭৬, যা গত ১৫ মে ছিল ৫৫৭। নবান্ন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাজ্যে মোট কন্টেইনমেন্ট (এফেক্টেড) জোনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭১৮। আর বাফার জোনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫৮। ট্রেন, বাস, গাড়ি ও নিজের উদ্যোগে ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিক, পর্যটক এবং বহু মানুষ আসার ফলেই করোনা সংক্রমণ দ্রুত বেড়েছে বলে মনে করছেন অফিসাররা। এ পর্যন্ত আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষ অন্য রাজ্য থেকে এসেছেন, আরও বহু মানুষ আসার অপেক্ষায়। এভাবে যদি মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি প্রভৃতি করোনা সংক্রমিত এলাকা থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন, তাহলে রাজ্যে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে উদ্বিগ্ন নবান্ন।
সবথেকে বেশি করোনা এফেক্টেড জোন হচ্ছে কলকাতায়, ২৮৬টি, তারপরে উত্তর ২৪ পরগনা, সেখানে এফেক্টেড জোনের সংখ্যা ১৪৪। হাওড়ায় ৭৬ টি এফেক্টেড জোন রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩৪, হুগলিতে ২৯, নদিয়ায় ২৪, পূর্ব মেদিনীপুরের ১৪, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৪, পূর্ব বর্ধমানে ১৯,পশ্চিম বর্ধমানে ১, মালদায় ২০, জলপাইগুড়িতে ২, দার্জিলিংয়ের ২, কালিম্পং-এ ২, উত্তর দিনাজপুরে ২১, দক্ষিণ দিনাজপুরে ২, মুর্শিদাবাদে ৩, বাঁকুড়ায় ১৫ এবং বীরভূমে ১০। দেখা যাচ্ছে, পরিযায়ী শ্রমিকরা আসার পরেই, মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং বীরভূমে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিম বর্ধমানও এখন কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় চলে এসেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাফার জোনও।
এদিন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সেও বিষয়টি উল্লেখ করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। পরিকল্পনা ছাড়াই দফায় দফায় ট্রেন পাঠানোর জন্যই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে বলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে, রেলের তরফে জানানো হয়েছে, কতজন পরিযায়ী শ্রমিক বাংলায় গিয়েছে, নির্দিষ্ট করে সেই তথ্য রেলের কাছে নেই। কারণ এই বন্দোবস্ত সংশ্লিষ্ট দু’টো রাজ্যই করছে। তবে শ্রমিক স্পেশাল চালুর পর এখনও পর্যন্ত বাংলায় প্রায় ৪২টি ট্রেন ঢুকেছে। একেকটি ট্রেনে ১২০০ করে শ্রমিক থাকছেন। এর মধ্যে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, খড়্গপুর, ডানকুনি, বহরমপুর কোর্ট, মালদহ, এনজেপি, নিউ কোচবিহারের মতো একাধিক স্টেশন আছে। সেই হিসেবে যদি ৪২টি ট্রেন রাজ্যে ঢোকে, তাহলে এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ঢুকেছেন। সংখ্যাটা আরও কিছুটা বাড়বে, কারণ এখন ‘ফুল ক্যাপাসিটি’তে শ্রমিক স্পেশাল চালানো হচ্ছে। যদিও নির্দিষ্ট করে বাংলার হিসেব রেল দিচ্ছে না।