পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৬টা ২০ মিনিটে কলকাতা থেকে ১২২ জন যাত্রী নিয়ে প্রথম বিমানটি দিল্লির উদ্দেশে উড়ে যায়। অন্যদিকে, ৬টা ৫০ মিনিট নাগাদ দিল্লি থেকে একটি বিমান ৪০ জন যাত্রী নিয়ে শহরে নামে। মোট ২৩টি বিমান এদিন ওঠানামা করেছে। লাউঞ্জে ঢোকার মুখেই গেটে যাত্রীদের মালপত্রে জীবাণুনাশক স্প্রে করে দেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। সেখানেই রাখা ছিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এরপর প্রতিটি যাত্রীকে থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করেন পিপিই পরা কর্মীরা। পরিচয়পত্র স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রে স্ক্যান করিয়ে সিআইএসএফ কিয়স্কে যেতে হচ্ছে। সেখানে কাচে ঢাকা কিয়স্কে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা যাত্রীদের পরিচয়পত্র এবং টিকিট পরীক্ষা করে দেখছেন। হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়েই সিকিউরিটি চেকিংয়ের কাজ করছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। লাউঞ্জ এবং চেকড ইন জোনে বসার চেয়ারেও সামাজিক দূরত্ব বিধি রাখা হয়েছে।
এদিন দিল্লি থেকে কলকাতায় পৌঁছে দূরত্ব বজায় রেখে লাইন দিয়ে বিমানবন্দর থেকে বের হয়েছেন যাত্রীরা। তাঁদের মধ্যে অভিরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক যাত্রী বলেন, বিমানবন্দরে টিকিট কাটা এবং টার্মিনাল থেকে বেরনো, শুধু এই দু’টি সময়ই সামাজিক দূরত্ব বজায় ছিল। আবার মুম্বই থেকে আসা সৌম্য পাল নামে এক যাত্রী বিরক্তির সুরে বললেন, আমার পাশে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা প্রায় ঠেসাঠেসি করে বসেছিলেন। সামাজিক দূরত্ব কোথায়! অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় নামে এক যাত্রীর কথায়, কর্তৃপক্ষ বিমানে ওঠার সময় একটি ফেসশিল্ড, একটি মাস্ক, একজোড়া গ্লাভস, একটি স্যানিটাইজারের বোতল দিয়েছে। কিন্তু চিন্তা একটাই, পাশাপাশি বসে আসা। মুম্বই যাওয়ার পথে মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা রত্না নাগ বলেন, দীর্ঘদিন পর মেয়ের কাছে যাচ্ছি, তবে ভয় লাগছে! এতজনের সঙ্গে পাশাপাশি বসে যাব, বিপদ না ডেকে আনি।
এরই মধ্যে চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় এয়ার এশিয়ার বিমানে দিল্লি থেকে আসা এক যাত্রীকে নিয়ে। তঁার দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে রাজারহাটের কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যান স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা। ছবি: পিটিআই