পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ন’ হাজারের বেশি (৯,২২৮) করোনা পরীক্ষা হয়েছে। মোট পরীক্ষার সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৭৭। প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যা পিছু করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১,৭৪৮ জনের। সুস্থতার হার ৩৭.০৬ শতাংশ। যাঁদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মধ্যে ২.৫৫ শতাংশ কোভিড পজিটিভ। বুলেটিন থেকে আরও জানা যাচ্ছে, ২৪ ঘণ্টায় যে পাঁচজন মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দু’জন কলকাতার। বাকি তিনজনের মধ্যে একজন হাওড়ার, একজন মুর্শিদাবাদের ও তৃতীয়জন অন্য রাজ্যের। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৫৮ জনই কলকাতার বাসিন্দা। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকেও বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর আসছে। যেমন মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে যথাক্রমে ১৩ জন এবং ১০ জন, পশ্চিম বর্ধমানে ১০ জন,পূর্ব বর্ধমানে যথাক্রমে ছ’জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। সূত্রের খবর, এদিন রাত পর্যন্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা ও তীব্র শ্বাসকষ্টের রোগী মিলিয়ে প্রায় ৩১৫ জন ভর্তি। রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় আজ বুধবার থেকে ইমার্জেন্সি বাড়ির দুই ও তিনতলার ক্যাজুয়ালটি ব্লকে ৮০টি শয্যা চালু করা হবে। টালিগঞ্জের এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে এদিন রাত পর্যন্ত ১১৫ জন ভর্তি। তার মধ্যে ৭৫ জনই করোনা পজিটিভ। আজ দুই চিকিৎসক সহ দিসান হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে ১১ জন করোনামুক্ত রোগীকে।
এদিকে, কলকাতা পুলিস ট্রেনিং স্কুলের ১২ জনকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাদের ১৩ জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আরও চারজনের নমুনা রিপোর্ট আসা বাকি। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ছ’জন। রাজ্য সরকার কোভিড পরীক্ষার পরিকাঠামো আরও বাড়াতে বিএসএল ২ পর্যায়ের ল্যাবরেটরি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।