কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এসবিএসটিসি সূত্রের খবর, লকডাউনের আগে পর্যন্ত তারা রোজ ৩৫৭টি রুটে বাস চালাত। বাস চলত কমবেশি ৭৩০টি। আজ থেকে ৮৩টি রুটে বাস চালানো হবে। এই রুটগুলির মধ্যে রয়েছে কলকাতা থেকে সিউড়ি, আসানসোল, দীঘা, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বর্ধমান সহ নানা গন্তব্য। একগুচ্ছ করে রুট রয়েছে দুর্গাপুর, আসানসোল সহ অন্যান্য জায়গা থেকেও।
এনবিএসটিসি সূত্রের খবর, লকডাউনের আগে পর্যন্ত তারা ২০০টি রুটে প্রায় ৬০০ করে বাস চালাত প্রতিদিন। আজ থেকে তারা ১০০-র কিছু বেশি রুটে বাস চালাবে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রুট হল, শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা, মালদহ থেকে কলকাতা, বহরমপুর থেকে কলকাতা, বালুরঘাট থেকে কলকাতা, কোচবিহার থেকে দিনহাটা, তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা, আলিপুরদুয়ার। নিগমের এক কর্তা বলেন, বর্তমানে ট্রেনে যেসব শ্রমিক ফিরছেন, তাঁদের জন্য কিছু বাস ব্যবহার হচ্ছে। এই দুই দিকের ভারসাম্য রেখেই আগামী দিনে চলতে হবে।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম সূত্রের খবর, আজ থেকে শহর ও শহরতলিতেও রুটের সংখ্যা বাড়ছে। এতদিন ১৫টি রুটে বাস চলছিল। আজ থেকে মোট ৪০টি রুটে বাস চালানো হবে। এর মধ্যে রয়েছে টালিগঞ্জ-মধ্যমগ্রাম, বিবাদী বাগ-মন্দিরতলা, ঘোলা-হাওড়া, বারাকপুর-হাওড়া, পার্ক সার্কাস-ডানকুনি, রাজাবাজার-নবান্ন, বারাসত-জোকা, টালিগঞ্জ করুণাময়ী-নিউটাউন, উল্টোডাঙা- সাপুরজি, হাওড়া স্টেশন-বালিগঞ্জ, হাওড়া-যাদবপুর, পর্ণশ্রী-নিউ টাউন, গড়িয়া-হাওড়া, ডানলপ-হাওড়া, বাগবাজার-গড়িয়া, বারাকপুর-করুণাময়ী প্রভৃতি।
নিগমগুলি পরিষেবা সম্প্রসারণ করলেও বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলির অবস্থান আগের জায়গাতেই রয়ে গিয়েছে। তাদের বক্তব্য, যাত্রী-সংখ্যা কমাতে হলে একই ভাড়ায় পরিষেবা দেওয়া কার্যত অসম্ভব। তবে সরকারের নির্দেশমতো কোনও কোনও মালিক পরিষেবা শুরু করতেই পারেন বলে নেতারা জানিয়েছেন। বেসরকারি বাস নিয়ে অচলাবস্থা চললেও ইতিমধ্যেই শহর-শহরতলিতে চলছে ট্যাক্সি। যাত্রী বাড়লে এবং আরও বেশি চালক বাড়ি থেকে ফিরলে ট্যাক্সির সংখ্যাও বাড়বে বলে খবর।