কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গত ২১ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ১০০ দিনের কাজ, বাংলার আবাস যোজনায় গরিব মানুষের বাড়ি, গ্রামীণ সড়ক যোজনার মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণ সহ একগুচ্ছ প্রকল্প শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমতো জেলায় জেলায় বাংলার আবাস যোজনায় গরিব মানুষকে বাড়ি করে দিতে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির কাজও শুরু হয়। যাঁদের কাঁচা বাড়ি, অথবা মাথার ওপর কোনও পাকা ছাদ নেই, এরকম মানুষকেই ওই তালিকায় রাখা হয়েছে। যাঁদের নাম তালিকায় আছে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি তিন কিস্তিতে বাড়ি তৈরির টাকা চলে যাবে। বাড়ি তৈরিতে দেওয়া হয় এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা। তবে জঙ্গলমহল এলাকার মানুষরা পান ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেকটি প্রশাসনিক বৈঠকে কড়া ভাষায় নির্দেশ দিয়েছেন, এই টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে যেন কোনও অভিযোগ না আসে। যদি কোনও অভিযোগ আসে তাহলে সংশ্লিষ্ট নেতা বা অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই তালিকায় উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন বড় জেলার লোকজন বেশি স্থান পেয়েছেন। কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করার জন্য পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে সাতমাস আগে চলে যাওয়া ১০০ দিনের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার দিব্যেন্দু সরকারকে ফের পঞ্চায়েত দপ্তরের সচিব করে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী চান, ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের দিয়েই গরিব মানুষের বাড়ি তৈরি করা হোক। এর দুটো উদ্দেশ্য, এক, এতে সহজে গরিব মানুষের বাড়ি যেমন তৈরি হয়ে যাবে, তেমনি ১০০ দিনের কাজে যুক্ত লক্ষ লক্ষ মানুষও কাজ পাবেন। এভাবে গ্রামের মানুষকে রোজগার পাইয়ে দেওয়াই মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য। ঘূর্ণিঝড়ে যাঁদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে তাঁদের অনেকেই এই তালিকায় থাকতে পারেন।
গত আর্থিক বছরেও বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পে ১০ লক্ষ ৮৩ হাজার বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মার্চ মাসে করোনা সংক্রমণের জেরে সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে লকডাউনে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি পঞ্চায়েত দপ্তর। অসমাপ্ত সেই কাজ শেষ করার জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেয় কেন্দ্র। দেখা গিয়েছে, এ পর্যন্ত দশ লক্ষ আট হাজার বাড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে। এর মধ্যেই মমতার নির্দেশে নতুন আর্থিক বছরে ১০ লক্ষ বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়। সেই নির্দেশ পেয়েই প্রকৃত গরিবদের তালিকা তৈরিতে হাত দেয় পঞ্চায়েত দপ্তর। প্রাথমিক তালিকা প্রায় সম্পূর্ণ। এবার বাকি ৫ লাখ ৭৯ হাজার লোকের তালিকাও শীঘ্রই চূড়ান্ত হবে। তারপরই বাড়ি তৈরি শুরু হয়ে যাবে। পুজোর মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে বলে পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে খবর। মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, বাংলার আবাস যোজনায় আমরা গত কয়েক বছর ধরেই দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছি। এবারও ১০ লাখ বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পর কাজের গতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবারই পশ্চিম মেদিনীপুরে যাচ্ছেন মন্ত্রী স্বয়ং।