শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গাছ কাটার কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। বিদ্যুৎ সংযোগ দ্রুত ফিরে আসছে, পানীয় জল সরবরাহও শুরু হয়েছে। সবমিলিয়ে রাজ্য ৮০ শতাংশ স্বাভাবিক অবস্থায় চলে এসেছে। সবকটি হাসপাতালে বিদ্যুৎ এসেছে, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, জল সরবরাহ প্রকল্প ও বিদ্যুতের সাব স্টেশনগুলি কাজ করতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে সকলের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভা এলাকায় গাছ কাটা সহ বিভিন্ন কাজে পুরসভার ১৭ হাজার কর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। গোটা রাজ্যে পূর্ত, দমকল, পুলিস, বিপর্যয় মোকাবিলা, জনসাস্থ্য কারিগরি, সেচ, কৃষি, জেলা প্রশাসন মিলিয়ে দু’লাখেরও বেশি কর্মী রাস্তায় নেমে দুর্যোগ সামলাচ্ছেন। এদিকে কলকাতায় সোমবার বিকেলেও টালিগঞ্জ, যাদবপুর, গড়িয়া ও বেহালার একটি অংশে বিদ্যুৎ না আসায় সিইএসসিকে একহাত নিয়েছেন কলকাতার পুরসভার প্রশাসক ববি হাকিম। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সব গাছ কাটা হয়ে গিয়েছে। গাছের জন্য বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না এ কথা আর বলা যাবে না। আরও লোক লাগানো উচিত ছিল সিইএসসির। মানুষকে একটু ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে ববি হাকিম বলেন, প্রকৃতির কাছে আমরা অসহায়।
এদিন ঈদের বিকেলেও নবান্ন থেকে মুখ্যসচিব এবং বাড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রী সব জেলাশাসক এবং প্রত্যেক দপ্তরের প্রধান সচিবকে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য বিশেষ নির্দেশ দেন। ভেঙে যাওয়া রাস্তা অবিলম্বে তৈরি করতে বলেন। একইসঙ্গে ভেঙে যাওয়া বাঁধ তৈরির কাজও দ্রুতগতিতে শুরুর কথা বলা হয়।
এদিন দিল্লি থেকে ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা রাজ্যের অবস্থা নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেন। নবান্ন থেকে মুখ্যসচিব তাঁকে বর্তমান অবস্থা বিশদে রিপোর্ট করেন। ক্যাবিনেট সচিব জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই কেন্দ্রের একটি দল রাজ্যে আসবে। অন্যদিকে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের সব শহরেই বিদ্যুৎ সংযোগ এসে গিয়েছে। শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে গ্রামীণ এলাকা জলমগ্ন থাকার জন্য কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। একটু তো সময় দিতে হবে, জল না সরলে বিদ্যুৎ কর্মীরা কাজ করবে কী করে।