পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তার ফল কী হয়েছে? লকডাউনের জেরে দেশে ৩০ শতাংশের বেশি বিক্রি কমেছে অ্যান্টিবায়োটিকের। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, গত বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় এ বছর ওই সময়ে অ্যান্টিবায়োটিক (এছাড়া অ্যান্টি-প্রোটোজোয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল ইত্যাদি) ওষুধের বিক্রি কমেছে ৩১ শতাংশ! কিছুদিন আগেই ওষুধের দোকানদারদের সর্ববৃহৎ সংগঠন এআইওসিডি’র সর্বভারতীয় সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, এ বছরের মার্চ থেকে এপ্রিল, শুধু একমাসেই অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রি কমেছে ৪১ শতাংশ! চিকিৎসকদের মতে, লকডাউনের হাজারো কুফল থাকতে পারে। কিন্তু, পরিবেশ দূষণ কমায় বিক্রি কমেছে বিভিন্ন ধরনের ইনহেলারেরও।
শুধুমাত্র অ্যান্টিবায়োটিকই নয়, গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় ব্যথাবেদনার ওষুধের বিক্রি ২২ শতাংশ ও গ্যাসের ওষুধের বিক্রি ১৬ শতাংশ কমেছে। শুধুমাত্র হার্ট, প্রেসার, সুগার সহ দীর্ঘদিনের পুরনো সমস্যায় জেরবার রোগীরা আগাম বেশি করে ওষুধ কেনায় এই ক্ষেত্রগুলিতে ওষুধ বিক্রি আগের মতো না হলেও কিছুটা বেড়েছে। ক্রনিক বা পুরনো রোগভোগের ওষুধ বিক্রি বেড়েছে ৫ শতাংশ। সুগারের ওষুধের বিক্রি বেড়েছে ১০ শতাংশ। হার্টের অসুখের ক্ষেত্রে তা ১৩ শতাংশ।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিক্রির ওই পড়তির হার চলতে থাকলে, গত কয়েক বছরের মধ্যে ২০২১-’২২ আর্থিক বছরে ওষুধ শিল্পে সার্বিক বৃদ্ধির হার হবে সর্বনিম্ন, মাত্র এক থেকে পাঁচ শতাংশের মধ্যে। যার প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।