নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী মাস থেকেই বিধানসভার বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির বৈঠক ধাপে ধাপে শুরু করার কথা চিন্তা করছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে করোনা আবহে সরকারি বিধিনিষেধ তাঁকে ভাবনায় ফেলেছে। লকডাউনের কারণে ৬৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষকে ঘরে থাকার ফতোয়া দেওয়া হয়েছে। আর ২৯৪ জন বিধায়কের মধ্যে অন্তত ১০০ জনের বয়স ৬৫’র উপর। সেক্ষেত্রে ওই বয়সি বিধায়কদের কীভাবে বৈঠকে আসতে বলা হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। বিধানসভা সূত্রের খবর, লকডাউনের জন্য গত দু’মাস ধরে বিধানসভার স্থায়ী কমিটিগুলির বৈঠক হচ্ছে না। তবে বৈঠক না করেও অবশ্য বিধায়করা মাসে ৬০ হাজার টাকা করে ভাতা পেয়ে যাচ্ছেন। জুন মাস থেকে লকডাউন প্রায় উঠে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। লোকসভা ও বিভিন্ন বিধানসভাগুলি অধিবেশন এবং কমিটির বৈঠক করার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে। এই খবর পেয়ে বিমানবাবুও আপাতত কমিটির বৈঠক করার ভাবনাচিন্তা করছেন। সেকারণে তিনি বিধায়কদের বয়সভিত্তিক নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন আধিকারিকদের কাছে।
জানা গিয়েছে, শতাধিক বিধায়কের বয়স পঁয়ষট্টির উপরে হলেও তার মধ্যে জনা আটেক অশীতিপর। খাতায়-কলমে একজন ছাড়া তাঁরা সকলেই শাসকদলের। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণ রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। বয়স ৮৮। তিনি একটি স্থায়ী কমিটির প্রধানও বটে। এছাড়াও ৬৫ পেরনো বিধায়করা প্রায় সকলেই কোনও না কোনও গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সদস্য। এই অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কীভাবে তাঁদের কমিটি বৈঠকে আনা যাবে, সেটাই এখন চিন্তায় ফেলেছে অধ্যক্ষকে। বিধানসভার সচিবালয়ের আধিকারিকদের কথায়, বিনা বৈঠকে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের ভাতা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে পরে সিএজি প্রশ্ন তুলতে পারে। তাই বৈঠক করা জরুরি।