নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২৪ ঘণ্টায় আরও ২০৮ জন আক্রান্ত হলেন করোনায়। রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্ত ও মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল যথাক্রমে ২ হাজার ৫৬ এবং ৩ হাজার ৬৬৭। কলকাতার দু’জন এবং হুগলির একজন বাসিন্দা এদিন করোনায় মারা যাওয়ায় এই রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২০০। কো-মরবিডিটির কারণে আরও ৭২ জন মারা গিয়েছেন। অন্যদিকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৮ জন রোগী। সব মিলিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৩৯।
রবিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দপ্তর করোনা বুলেটিনে এ খবর জানিয়ে বলেছে, নতুন করে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫২ জন কলকাতার। এছাড়াও হাওড়ায় ৪৮, মালদহে ৩১, উত্তর ২৪ পরগনায় ২১, হুগলিতে ২০, উত্তর দিনাজপুরে ১৩ এবং মুর্শিদাবাদে ৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৯ হাজার ২১৬ জনের। সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সুস্থতার হার ৩৬.৫১ শতাংশ। যে সব রোগীর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে পজিটিভ হওয়ার হার ২.৬৪ শতাংশ। প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় পরীক্ষা হয়েছে ১ হাজার ৫৪২ জনের।
আজ সোমবার ৬০ জন করোনা জয়ী ছুটি পাবেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে। সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালে প্রায় ৩০০ জন করোনা ও তার উপসর্গ থাকা রোগী ভর্তি আছেন। করোনামুক্ত রোগীদের ফলো-আপের জন্য বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘পোস্ট করোনা ক্লিনিক’।
করোনা মোকাবিলায় কে পি সি মেডিক্যাল কলেজে এই সপ্তাহ থেকে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের সরকারি স্তরে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে। সূত্রের খবর, এখানে ২০৬ শয্যার পৃথক ব্লকে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা হবে। ইতিমধ্যেই ছ’জন সেখানে ভর্তি। বাকি অংশে
কোভিড ছাড়া সাধারণ রোগ-ব্যাধির চিকিৎসা চলবে। এদিকে, এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল থেকে শনিবার পাঁচজন করোনামুক্ত রোগীকে ছুটি দেওয়ার পর মোট ১০৭ জন ভর্তি আছেন।
অন্যদিকে, রাজ্যজুড়ে ডায়ালিসিস পরিষেবার মান বাড়াতে প্রতি জেলায় ‘মেন্টর’ নেফ্রোলজিস্ট মনোনীত করে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনও সরকারি ডায়ালিসিস ইউনিট করোনার কারণে সংক্রামিত হলে, জীবাণুমুক্ত করে ১২ ঘণ্টার মধ্যে চালু করতে হবে।