বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন, উম-পুন ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে বলেন, ১০ লক্ষ বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ৫৬ টা গুরুত্বপূর্ণ নদীবাঁধ ভেঙেছে। হাজার হাজার বিদ্যুতের পোল উল্টে গিয়েছে। অনেক পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব দপ্তরকে সমীক্ষা করতে হবে। কেন্দ্রীয় টিম আসছে, তাদের ভালো করে গোটা পরিস্থিতি জানাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ঝড়ে ৬ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। গোটা রাজ্যে মোট ৮৬ জন মারা গিয়েছেন। আজ পাঁচ মৃতের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা করে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই দুর্যোগের পর ভুটান ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। আমি তাদের বলেছি, এত বড় বিপর্যয় জীবনে দেখিনি।
মমতা জানান, এই মুহূর্তে আমাদের রাজ্য একসঙ্গে চারটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। করোনা, লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিক এবং বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়। রাজ্যের অবস্থা ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই গত দু’মাসে ৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে শুধু কোভিড মোকাবিলায়। সবটা সামলাতে একটু তো সময় দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই রাজ্যে প্রায় দেড় কোটি মানুষ সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে নানারকম আর্থিক সুবিধা পান। মানুষ সেই টাকা পাচ্ছেন না, এমন অভিযোগ যেন না আসে বলে অফিসারদের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সেইসঙ্গে বেসরকারি বাস মালিকদের কাছে আবার অনুরোধ করেন, এখন মানুষ বিপদে আছে, তাই বাস চালাতেই হবে। বাসের ভাড়া বাড়ানো এখনই সম্ভব নয়।