রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
করোনার প্রভাব এরাজ্যে পড়তে শুরু করেছিল গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। মার্চ মাসে তা অনেকটাই বাড়ে। তাই ওই দু’মাস রাজস্ব আদায় কম হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু গত আর্থিক বছরের গোড়া থেকেই দেশজুড়ে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ভালো যায়নি। ব্যবসার চাকা ঘুরছে না, তা টের পেয়ে বছরের মাঝামাঝি সময়ে শিল্প সংস্থাগুলিকে আয়করে বড় ছাড় দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী বারবার রেপো রেট কমিয়ে, ঋণের সুদেও রেহাই দিতে উঠেপড়ে লাগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে কমানো হয় জিএসটি’র হারও। কিন্তু সুফল যে মেলেনি, তা মেনে নিয়েছেন অর্থনীতিবিদ থেকে শিল্পকর্তারা। তার প্রভাব পড়েছে আয়কর সহ রাজস্ব আদায়ের সর্বস্তরে।
এই পরিস্থিতিতেও জিএসটি আদায়ে উজ্জ্বল রাজ্য। সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস সূত্রে খবর, গত আর্থিক বছরে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ থেকে সার্বিক জিএসটি আদায় হয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। তার আগের অর্থবর্ষ থেকে ৮.৮১ শতাংশ বেশি। এই জিএসটির তিনটি ভাগ। স্টেট জিএসটি, সেন্ট্রাল জিএসটি এবং ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি। এর মধ্যে শুধু স্টেট জিএসটি বাবদ আদায় হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা, যার বৃদ্ধির হার প্রায় ১৩ শতাংশ। এই ঘটনাকে চমকপ্রদ বলছেন দপ্তরের কর্তারা।
দেশে জিএসটি আদায়ের হাল কী? এবিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের রাজস্ব বিভাগ সর্বশেষ যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতে শুধু ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে জিএসটি আদায় হয়েছে ৮৩ হাজার ৫৮১ কোটি টাকা। আগের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। কিন্তু সারা বছরে আদায় বৃদ্ধির হার কত, তা জানায়নি কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, বছরভর আদায় বৃদ্ধির হার ততটা উজ্জ্বল হওয়ার কথা নয়। অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকার এটাও জানিয়েছে, ওই ফেব্রুয়ারিতে যেখানে দেশে বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ, তখন শুধু পশ্চিমবঙ্গে ওই মাসে তা বেড়েছে ১৩ শতাংশ।
আয়কর আদায়েও দেশের সার্বিক অবস্থা থেকে অনেকটা ভালো জায়গায় এই রাজ্য। গত আর্থিক বছরের শেষে, অর্থাৎ মার্চ মাস পর্যন্ত বড় অঙ্কের আয়কর আদায়কারী রাজ্যগুলির কোথাও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি দেশ। সেখানে শিল্প সংস্থাগুলি থেকে ইনকাম ট্যাক্স আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা টপকে গিয়েছে বাংলা। এমনকী জাতীয় আদায় বৃদ্ধি যেখানে আট শতাংশ কমেছে, সেখানে বাংলায় মোট আয়কর আদায় কমেছে ছ’শতাংশ। মুম্বই বা দিল্লির মতো শহরে আয়কর আদায় কমার হার যেখানে ১২ শতাংশে পৌঁছেছে, সেখানে তুলনামূলকভাবে অনেকটাই ‘এগিয়ে’ বাংলা।