পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এসবিএসটিসি সূত্রের খবর, বর্তমানে তারা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম ডিপো থেকে কেবলমাত্র গ্রিন জোনে ১৪টি রুটে বাস চালাচ্ছে। দূরপাল্লার কোন কোন রুটে পরিষেবার সূচনা করা যায়, মোটের উপর তার খসড়া তালিকা তৈরি। তাতে দেখা যাচ্ছে, দীঘা-কলকাতা, হলদিয়া-কলকাতা, আসানসোল-কলকাতা, বাঁকুড়া-কলকাতা, ঝাড়গ্রাম-কলকাতা, মেদিনীপুর-হলদিয়া, মেদিনীপুর-দীঘা, দুর্গাপুর-বহরমপুর সহ একাধিক রুট রয়েছে। নিগমের এক কর্তা বলেন, এই তালিকাটি চূড়ান্ত নয়। কারণ এই তালিকা থেকে এখনও ঝাড়াই-বাছাই করা হবে। রুটের বিস্তারিত তালিকা পরিবহণ দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। তাই দপ্তরের নির্দেশও এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এনবিএসটিসি সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহ থেকেই শিলিগুড়ি-কলকাতা, বহরমপুর-কলকাতা, শিলিগুড়ি-বহরমপুর, মালদহ-কলকাতা, রায়গঞ্জ-কলকাতা সহ কিছু রুটে বাস চালাতে সব রকম প্রস্তুতি চলছে। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, আজ, রবিবার নিগমগুলির সঙ্গে অফিসারদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করবেন পরিবহণমন্ত্রী। সেখানে নতুন পরিষেবার ব্যাপারে কথা হবে। তবে আরও বেশি রুটে সরকারি বাস চালানো নিয়ে তৎপরতা বাড়লেও বেসরকারি মালিকরা পরিষেবার প্রশ্নে আগের জায়গাতেই রয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, কম যাত্রী নিয়ে পরিষেবা দিতে হলে ভাড়া বৃদ্ধি করতে হবে।
তবে ঘূর্ণিঝড়ের বিপর্যয়ের কারণে ট্রেন এবং অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা কয়েকদিন পর চালু করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নবান্নে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করব, বাগডোগরায় ২৮ মে এবং কলকাতায় ৩০ মে থেকে বিমান পরিষেবা শুরু করা হোক। এ ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা মন্ত্রককে চিঠি দেবেন। তবে ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব এ ব্যাপারে রেলকে চিঠি দিয়েছেন। রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এদিন বলেন, উম-পুনের কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আমাকে চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ করেছেন, আগামী ২৬ মে পর্যন্ত যেন ওই রাজ্যে কোনও স্পেশাল ট্রেন না চালানো হয়। রেল তৈরিই আছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যখন বলবে, আমরা তখনই ট্রেন চালিয়ে দিতে পারব। যদিও শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে যাত্রীবাহী বিশেষ ট্রেনের চলাচলও বিপর্যয়ের কারণে আপাতত বন্ধ রাখা হবে কি না, সেই ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি রেলমন্ত্রক। তবে আজ হাওড়া-নিউ দিল্লি এবং নিউ দিল্লি-হাওড়া এসি স্পেশাল ট্রেন নির্ধারিত সময়েই ছেড়েছে।
এদিকে, রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান এদিন আরও ঘোষণা করেছেন, করোনা চিকিৎসার জন্য তৈরি হওয়া কোভিড-কোচের ৫০ শতাংশকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন হিসেবে চালানো হবে। আর তারপরই এই ইস্যুতে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছে রেলমন্ত্রক। প্রশ্ন উঠেছে, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন হিসেবেই যদি চালানো হয়, তাহলে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পাঁচ হাজারের বেশি নন-এসি আইসিএফ রেল কোচকে কোভিড কেয়ার সেন্টারে পরিণত করার যৌক্তিকতা কোথায়?