গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে কী করে দুর্গত এলাকার পুনর্গঠনের কাজ শুরু করা যায় তার রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, গাছ পড়ে, দেওয়াল চাপা পড়ে, টিন উড়ে এসে ৮০ জন মারা গিয়েছেন। কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে সাহায্য দেওয়ার কথাও তিনি ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অমিত শাহ আমাকে ফোন করেছিলেন। বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে জরুরি ভিত্তিতে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। করোনা মোকাবিলায় হাজার কোটি খরচ হয়েছে, ক্ষতিপূরণ পাইনি। এবার আরও ক্ষতি হয়েছে। দেখা যাক, কেন্দ্র কী দেয়!
মমতা এদিন বিভিন্ন দপ্তরকে কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেন, এমনভাবে কাজ করবেন, যেন তিন বছরে আর হাত দিতে না হয়। অপ্রয়োজনীয় খরচ করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে দেখে সাতদিনে সার্ভে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ঘূর্ণিঝড় প্রভাবিত এলাকায় পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহের নির্দেশও দেন তিনি। প্রাথমিকভাবে যে রিপোর্ট নবান্নে পৌঁছেছে, তার উপর ভিত্তি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুই ২৪ পরগনা ও কলকাতা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ড্রোন উড়িয়ে ক্ষয়ক্ষতির সমীক্ষা করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে সাতটি জেলার বিরাট ক্ষতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলির অবস্থা দেখে নিতে হবে। -নিজস্ব চিত্র