কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
যদিও বিজেপির ওবিসি মোর্চার রাজ্য সভাপতি স্বপন পাল বলেন, পুলিস, প্রশাসনকে ব্যবহার করে তৃণমূল তো বিজেপি নেতাদের মানুষের কাছে যেতেই দেয়নি। ওদের নেতামন্ত্রীদের অবাধে ঘুরতে দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের ক্ষেত্রে আইনকে সামনে রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। এমনকী, হাজতবাসও করানো হয়েছে। তবে এটা ঠিক যে, ওরা যে পরিমাণে মানুষকে সাহায্য করেছে, তা আমরা করতে পারিনি। রেশনলুটের টাকা তো আমাদের হাতে নেই। তাই বিলিবণ্টনে আমরা পিছিয়ে পড়েছি।
লকডাউন পর্বে রান্না করা খাবার বিলি থেকে মাস্ক বিতরণ, খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, বিনা পয়সার হাট বসানো থেকে বাড়ি বাড়ি চাল, আনাজ পৌঁছে দেওয়ার কাজ তৃণমূলের রীতিমতো কর্মসূচি হয়ে উঠেছে। এই কাজে জেলা সভাপতি থেকে মন্ত্রী, বিধায়ক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেছেন। বিপুল এই সাহায্য কর্মসূচির তুলনায় অনেকটাই ফিকে দেখিয়েছে বিজেপির নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গত লোকসভা ভোটের পর প্রায় সাইনবোর্ডে পরিণত হওয়া বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বকেও হুগলির মাঠে, ময়দানে দেখা গিয়েছে।
এনিয়ে বিজেপির তৃণমূলেরস্তরের কর্মীমহলের আক্ষেপ, সঙ্কটের সময় দলীয় নেতৃত্বের সক্রিয় উপস্থিতি খুব দরকার ছিল। কিছুকিছু ক্ষেত্রে নেতারা এগিয়ে না আসায় গেরুয়া শিবিরের নিচুতলার কর্মীরাই নিজেরা উদ্যোগী হয়ে কিছুটা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। কর্মীদের আশঙ্কা, মানুষের পাশে থাকার ইস্যুতে দলের ভাবমূর্তি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তৃণমূল প্রশাসনিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েছে, একথা ঠিক। কিন্তু, সামান্য কিছু নিয়েও আমাদের নেতৃত্বের ভক্তভোগীদের পাশে দাঁড়ানো দরকার ছিল।
বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বসু বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা রাস্তাতেই মানুষের পাশে ছিলেন। না হলে দফায় দফায় পুলিস গ্রেপ্তার করল কেন? আর শাসকদলের প্রচুর জনপ্রতিনিধি, তাদের হাতে প্রচুর লুটের টাকা। আমরা তারপরেও যতটা মানুষের পাশে থেকেছি, তাতে দলীয় কর্মীরা ও সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, যতটা উৎসাহ জেলার একটি অবাঞ্ছিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গেরুয়া নেতারা দেখিয়েছেন, তার বিন্দুমাত্র করোনা আবহে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য দেখাননি। এটা আর দশজন সাধারণ মানুষের মতো গেরুয়াকর্মীরাও উপলব্ধি করছেন। বিজেপির কাজই কুৎসা করা। তবে আমরা ওসব নিয়ে না ভেবে মানুষের কাজে আরও বেশি করে মনযোগ দিতে চাই। শেষ বিচার মানুষই করবে।